কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: মহিলা আরপিএফ (RPF) কর্মীর তৎপরতায় অল্পের জন্য রক্ষা। প্রাণে বাঁচলেন প্রৌঢ় রেলযাত্রী। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেলযাত্রীকে রক্ষা করেন আরপিএফ কর্মী।


অল্পের জন্য রক্ষা: আরপিএফ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ভোর ৪ টে নাগাদ ডাউন গঙ্গাসাগর এক্সপ্রেস বর্ধমান স্টেশনের (East Burdwan) ৫ নং প্লাটফর্ম থেকে ছাড়ে। প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেন ছাড়ার পরই নিভা কুমারী নামে এক মহিলা আরপিএফ কর্মী দেখতে পান চলন্ত ট্রেন থেকেই শৈলেন্দ্র চৌধুরী নামে ওই যাত্রী নামতে গিয়ে ট্রেন ও প্লাটফর্মের মাঝে পরে গিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে রক্ষা করতে যান ওই আরপিএফ কর্মী। নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে মহিলা আরপিএফ কর্মী নিভা কুমারী অন্য আর এক আরপিএফ কর্মী যোগেশ কুমারের সহযোগিতায় দৌড়ে গিয়ে তাঁকে রক্ষা করেন। প্রৌঢ়ের আঘাত গুরুতর নয় বলেই জানা গেছে। সূত্রের খবর, শৈলেন্দ্র চৌধুরীর বাড়ি বিহারের মধুবণী জেলার রঘুপুর-ইটাহার গ্রামে। তিনি মধুবণী থেকে ব্যান্ডেল যাওয়ার টিকিট কেটে ট্রেনে উঠেছিলেন। 


এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থেকেছিলেন ট্রেনযাত্রীরা। মেদিনীপুর রেলওয়ে স্টেশনের (Medinipur railway station) অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন এক যাত্রী। ওইদিন সকাল ১১টা নাগাদ মেদিনীপুর স্টেশনে ডাউন মেদিনীপুর-হাওড়া লোকাল ট্রেনে চাপতে গিয়ে পা স্লিপ করে পড়ে যান ২৫ বছরের এক যুবতী। ঘটনাটি নজরে আসতেই স্টেশনে থাকা কাঞ্চন কুমারী নামে আরপিএফ-এর একজন লেডি কনস্টেবল তৎপরতার সঙ্গে সরিয়ে আনেন তাঁকে। ঠিক তার এক সপ্তাহ আগে এমনই আরেকটি ঘটনা ঘটে। মেদিনীপুর স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে বিকেল ৪টে বেজে ১০ মিনিটে ডাউন মেদিনীপুর-হাওড়া লোকাল যখন ১ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে ছাড়ছিল। সেই সময় এক বৃদ্ধা ট্রেনে চাপতে গিয়ে আচমকা পা স্লিপ করে যায়। চোখের সামনে এই ঘটনা দেখে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা আরপিএফের একজন মহিলা কনস্টেবল এস বিশ্বাস তড়িঘড়ি তাঁকে ধরে ফেলেন। আর তার জেরেই দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়ে প্রাণে বাঁচেন ওই মহিলা               


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।    


আরও পড়ুন: Saayoni Ghosh: দলে 'শুদ্ধিকরণের' বার্তা, জুতোপেটার দাওয়াই সায়নী ঘোষের