কলকাতা: সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাতেও গঙ্গাসাগরে (Gangasagar) চলল যাত্রী পারাপার। গতকাল রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ৬টি লঞ্চ নামখানা ঘাট থেকে পুণ্যার্থীদের নিয়ে পৌঁছয় সাগরের বেণুবন পয়েন্টের চেমাগুড়িতে। যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়াও নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।                                                             


সরকারি নিয়মে সন্ধের পর লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এর কারণ, নামখানা থেকে চেমাগুড়ি যাওয়ার পথে, হাতানিয়া- দোয়ানিয়া নদী ও বঙ্গোপসাগরে একাধিক চড়া রয়েছে। সেই চড়ায় লেগে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা প্রবল। সরকারি নির্দেশকে অগ্রাহ্য করে কীভাবে রাতে লঞ্চ পারাপার চলল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন সুন্দরবনের পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়।                                                             


ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা। আগামী রবিবার মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান। আসতে শুরু করেছেন পুণ্যার্থীরা। কথায় বলে, সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার। রবিবার থেকে শুরু হয়েছে সেই সাগরমেলা। প্রথম দিন থেকেই পুণ্যের সন্ধানে সাগরমুখী মানুষের ঢল৷ সাগরের জল স্পর্শ করে, কপিল মুনির আশীর্বাদ নিয়ে মোক্ষলাভের আশায়৷ ১৭ জানুয়ারি পর্য়ন্ত হবে গঙ্গাসাগর মেলা। মকর সংক্রান্তির পুণ্য স্নান ১৫ জানুয়ারি।


আরও পড়ুন, বাবুঘাটে বিজেপির গঙ্গা আরতির অনুমতি দিল না কলকাতা পুলিশ


প্রশাসনের অনুমান, এবার সাগরে সংক্রান্তির পূণ্যস্নান করতে আসবেন অন্তত ৩০ লক্ষ পুণ্যার্থী ও সাধু-সন্ত। সেই উপলক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে প্রস্তুতি। নিরাপত্তা করা হয়েছে জোরদার। মেলার এবারের বিশেষ আকর্ষণ সাগর আরতি। ১২, ১৩, ১৪ সাগরে বিশেষ আরতির আয়োজন করা হয়েছে।                                              



সেজে উঠছে কপিল মুনির আশ্রম। কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের আদলে রেপ্লিকা বানানো হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণে। পুণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে চালানো হচ্ছে প্রায় ৩ হাজার বাস।
পারাপারের জন্য কাজে লাগানো হয়েছে ২১টি জেটিকে।