সৌমেন চক্রবর্তী, গড়বেতা : গড়বেতায় (Garbeta) মাওবাদীদের (Maoist) নামে পোস্টারের ঘটনায় ধৃতদের রাজনৈতিক পরিচয় ঘিরে নতুন বিতর্ক। ধৃত ৭ জনই বিজেপি কর্মী বলে দাবি করেছেন তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনীতির অভিযোগ তুলে ধৃতদের দলীয় যোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।


পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায় মাওবাদীদের নামে হুমকি পোস্টারের ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, পাঁচজনের বাড়ি গড়বেতায়, দুজন থাকেন ঝাড়গ্রামে।


আরও পড়ুন ; তৃণমূল নেতাদের গণ আদালতে বিচারের হুঁশিয়ারি দিয়ে জঙ্গলমহলে মাওবাদী পোস্টার


ধৃতদের রাজনৈতিক পরিচয় ঘিরে তীব্র হয়েছে চাপানউতোর। তৃণমূলের অভিযোগ, ধৃত ৭ জনই বিজেপি কর্মী। পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনীতির অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। পিংলার তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, এরা প্রত্যেকেই বিজেপি কর্মী। জঙ্গলমহলে বালি খাদান খোলার জন্য মাওবাদী জিগির তুলে ওই জায়গা ফ্রি জোন করতে চাইছে। জঙ্গলের সম্পদ পাচার করতে চাইছে।


যদিও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, জঙ্গলমহলে যেহেতু সব আসনে বিজেপি জয়ী হয়েছে, তাই কয়েক বছর আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু করেছে যাতে মানুষ ভীত হয়ে থাকে। সবটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।


হাই অ্যালার্টের মধ্যে জঙ্গলমহলের একাধিক জেলায় পরপর পড়তে থাকে মাওবাদী পোস্টার। বুধবার পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে মাওবাদী-পোস্টার নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। 


২১ এপ্রিল গড়বেতার ৭টি জায়গা থেকে মাওবাদীদের নামে হুমকি পোস্টারের ঘটনায় আগেই সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগে তৃণমূল নেতাদের গণ আদালতে বিচারের হুঁশিয়ারি দিয়ে জঙ্গলমহলে (Jungalmahal) মাওবাদীদের (Maoist) নামে পোস্টার পড়ে। ঝাড়গ্রামের বিনপুর থানা এলাকার একাধিক জায়গায় পোস্টার মেলে। পোস্টারে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ও এক স্থানীয় নেতার নামে গণ আদালতে বিচারের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এর সঙ্গেই, কোনও কোনও পোস্টারে অভিযোগ তোলা হয়, মূল স্রোতে ফিরতে চাওয়া মাওবাদীদের প্যাকেজ নিয়ে দুর্নীতি চলছে।