কলকাতা: গার্ডেনরিচ বহুতল বিপর্যয়ের পর ইতিমধ্য়েই অবৈধ নির্মাণ ঘিরে বামেদের দিকে আঙুল তুলেছেন ফিরহাদ হাকিম। 'বেআইনি ভাবেই নির্মাণ করা হচ্ছিল বহুতলটি', স্বীকার করে নেন খোদ মেয়র। তবে দোষ চাপান বাম আমলের উপর।  যদিও এই মন্তব্যের আগেই অবৈধ নির্মাণের ইস্যুতে শাসকদলকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন শুভেন্দু-সুকান্তরা। এবার মুখ খুললেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।


গার্ডেনরিচ বহুতল বিপর্যয়ে মুখ খুললেন দিলীপ


দিলীপ ঘোষ বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে বেআইনি বিল্ডিং ডেভেলপমেন্ট খুব হচ্ছে। কাউন্সিলর, এমএলএ ,এমপিরা খুব টাকা খাচ্ছে। লোকাল নেতারা টাকা খাচ্ছে। এখানে ব্রিজ ভেঙে পড়ে, নির্মীয়মান ফ্লাইওভার ভেঙে পড়ে এখন বিল্ডিং ভেঙে পড়ছে। এই যে দুর্নীতি হচ্ছে যেখানে অর্ধেক টাকা দিয়ে দিতে হচ্ছে লোকাল নেতাদেরকে, কাউন্সিলরদেরকে কোনও মতে ইট বালি দিয়ে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে বাড়ি। যে কিনছে তার পুরো জীবনটাও কাটাতে পারবে না মাঝখানে ভেঙে পড়বে এই যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, এ ব্যাপক দুর্নীতি তাঁর কারণ। সেই জন্য সরকারকে সতর্ক হতে হবে। এগুলো তদন্ত হওয়া দরকার আছে। নতুন নতুন ফ্ল্যাট বিল্ডিং যেগুলো তৈরি হচ্ছে। বেশিরভাগ অবস্থা এরকম আছে। আমার মনে হয় ক্রেতা যারা, তাঁদের সাবধান হওয়া উচিত। পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত।' 


আরও পড়ুন, 'গার্ডেনরিচে মৃতের পরিবার পিছু ৫ লাখ টাকা, আহতদের..', ঘোষণা ফিরহাদের


ঠিক কী হয়েছিল ?


ঘড়িতে তখন রাত ১১টা ৪৯। কলকাতা পুরসভার ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে আজহার মোল্লা বাগান এলাকায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে নির্মীয়মাণ ৬ তলা বহুতল। স্থানীয়দের দাবি, প্রথমে মনে হয়েছিল ভূমিকম্প। বড় বড় কংক্রিটের চাঙড় ভেঙে আশপাশের টালির চালের বাড়ির ওপর পড়তে শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে ধুলোয় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। প্রায় ৭ মিনিট ধরে চলে ধুলোর ঝড়। আতঙ্কে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। দমকল, পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী দ্রুত পৌঁছলেও, এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় অন্ধকারে, সংকীর্ণ রাস্তায় উদ্ধারকাজে বেগ পেতে হয়। রাত ৩টে নাগাদ NDRF আসার পর, দ্রুত গতিতে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ২ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। রাতভর ঘটনাস্থলেই ছিলেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। দুর্ঘটনাস্থলে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, মেয়র ও পুর-নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সাংসদ মালা রায়।