কলকাতা:  গার্ডেনরিচকাণ্ডে (Garden Reach Building Collapse ) এখনও গ্রেফতার মাত্র ১। প্রোমোটারের পুলিশ হেফাজত (Police Custody)। 'শুধু একজন নয়, আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে', ধৃত প্রোমোটারকে পুলিশ হেফাজতে চেয়ে সওয়াল সরকারি আইনজীবীর। 


গার্ডেনরিচকাণ্ডে প্রোমোটারের জামিনের আবেদন খারিজ, ১৪দিনের পুলিশ হেফাজত


'২০১৩ সালে পুণেতে একটি বাড়ি ভেঙে ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই সময় ইঞ্জিনিয়ার, সরকারি আধিকারিক-সহ অনেকে গ্রেফতার হয়েছিল। এক্ষেত্রে একজন গ্রেফতার, কিন্তু আরও অনেকে থাকতে পারে বলে মনে করছি', ধৃত প্রোমোটারকে পুলিশ হেফাজতে চেয়ে কোর্টে সওয়াল সরকারি আইনজীবীর। প্রোমোটারের হয়ে সওয়াল করতে নারাজ কোনও আইনজীবী। প্রোমোটারের হয়ে জামিনের সওয়াল লিগাল এডের আইনজীবীর। প্রোমোটারের জামিনের আবেদন খারিজ, ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত।


আইনত যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার, সেটা আমরা নেব : মেয়র ও পুর নগরোন্নয়নমন্ত্রী  ফিরহাদ হাকিম 


মেয়র ও পুর নগরোন্নয়নমন্ত্রী  ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'এটা লিগাল বাড়ি নয়, ইললিগাল বাড়ি হচ্ছিল এবং সেই অনুযায়ী আইনত যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার, সেটা আমরা নেব। এটা বামফ্রন্ট আমল থেকে এখন খুব একটা হয় না, বামফ্রন্ট আমল থেকে এটা এখানকার বা আরও কিছু অঞ্চল আছে যেখানে এটা একটা রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বহুতল তৈরির কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। ৫০০ স্কোয়ার-ফুটের ১৬টি ফ্ল্যাট ছিল।' 


আরও পড়ুন, বাঁকুড়ার BJP প্রার্থীর মন্তব্যে বিতর্ক, 'কমিশনের নজরে আনা হবে', হুঁশিয়ারি তৃণমূলের


 ঠিক কী হয়েছিল ? কী অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের ?


রবিবার রাত ১২টা নাগাদ, কলকাতা পুরসভার ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের ফতেপুরে ভেঙে পড়ে নির্মীয়মান বহুতলটি। আজহার মোল্লা বাগান এলাকায় একাধিক ঝুপড়ি ছিল। সেই ঝুপড়ির উপর ভেঙে পড়ে বহুতলটি। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়েন বেশ কয়েকজন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ, দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। ঘটনাস্থলে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ৫ তলার নির্মীয়মাণ বাড়ি ভেঙে পড়েছে। কয়েক মাস ধরে অবৈধভাবে বহুতলটি নির্মাণ করা হচ্ছিল বলে, অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে বহুতলটি বানানো হচ্ছিল বলেও অভিযোগ।ধ্বংসস্তূপের নীচে আর কেউ চাপা পড়ে আছেন কিনা, খোঁজ চালাচ্ছেন পুলিশ, দমকল কর্মী ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা।