কলকাতা: গার্ডেনরিচে খাটের নিচে ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ফ্রিজ আরও ৩২ কোটি। মোবাইল গেমিং অ্যাপকাণ্ডে ৩২ কোটি টাকা ফ্রিজ করল লালবাজার। অধিকাংশ লেনদেন হয় বিদেশ থেকে। সল্টলেক সেক্টর ফাইভের অফিসে তল্লাশিতে অ্যাকাউন্টের হদিশ। ১৬০০ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পায় লালবাজার। সেই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে ৩২ কোটি টাকা ফ্রিজ করল লালবাজার।


কলকাতা পুলিশের দাবি, বিদেশ থেকে স্বয়ংক্রিয় সিস্টেমে চালানো হত প্রতারণা চক্র। গার্ডেনরিচের আমির খান একা নয়, উঠে আসছে আরও কয়েকটি নাম। এদেরই একজন বি কে পাল অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দা শুভজিৎ শ্রীমানি। তিনি মোবাইল গেমিং অ্যাপ প্রতারণা চক্রের আরেক মাস্টারমাইন্ড বলে পুলিশের দাবি। পুলিশ সূত্রে খবর, বছরখানেক ধরে দুবাইতে থাকেন শুভজিৎ। অন্যতম পাণ্ডা আমির খানকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য কলকাতা পুলিশের হাতে। পুলিশ সূত্রে খবর, মোবাইল গেমিং অ্যাপ প্রতারণা চক্র অপারেট করা হত বিদেশ থেকে। অন্যতম মাস্টারমাইন্ড শুভজিৎ শ্রীমানি বছরখানেক ধরে দুবাইতে রয়েছেন।  তাঁর সল্টলেকের অফিসে গিয়ে দেখা যায়, অফিসে লোক নেই, অথচ সার্ভার, কম্পিউটার চলছে। সবকিছুই স্বয়ংক্রিয়। পুলিশের দাবি, দুবাই, মালয়েশিয়ায় বসে গোটা সিস্টেম অপারেট করে চক্রের পাণ্ডারা। গেমিং অ্যাপের পাশাপাশি, বিভিন্ন ধরনের অনলাইন প্রতারণা চক্রও চালানো হত বলে পুলিশের দাবি। শুধু আমির খানের বাড়ি নয়, বেশ কিছু  অ্যাকাউন্ট থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। 


আরও পড়ুন, ১৪ দিনের ইডি হেফাজতে মানিক ভট্টাচার্য


গার্ডেনরিচ কাণ্ডে পুলিশের পরে এবার প্রায় ১৩ কোটি টাকার ক্রিপ্টোকারেন্সি উদ্ধার করে ইডি। আমিরের  প্রতারণার শিকড়ের খোঁজে ৩ জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। অন্যদিকে ৫টি জায়গায় তল্লাশি চালায় কলকাতা পুলিশ। গ্রেফতার ৪ জন। সেক্টর ফাইভে, ক্যুইক ব্লক-ই-কমার্স নামে এক সংস্থার অফিসে হানা দেয় পুলিশ। সেখানে ঢুকেই চোখ কপালে ওঠে অফিসারদের। দেখা যাচ্ছে, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, সেগুলির সার্ভার - সব চলছে, অথচ একটিও লোক নেই। অফিসে তল্লাশি চালিয়ে ৩ হাজারের বেশি ডেবিট কার্ড ৪৮৩টি ব্যাঙ্ক কিট উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়াও ১৯৫২টি সিম কার্ড উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, এই অফিসে কাউকে না পাওয়া গেলেও, প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে জানা গিয়েছে, বিদেশে বসে এই অফিসের সার্ভার নিয়ন্ত্রণ করা হত। এদিকে, আমির-কানেকশনে দিনভর তল্লাশি চালিয়ে, বিভিন্ন ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। তাঁদের জেরা করে প্রতারণা চক্রের আরও গভীরে যেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।