লখনউ: আজ মঙ্গলবার, সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি ট্রফিতে (Syed Mushtaq Ali T20) বাংলার অভিযান শুরু হওয়ার কথা ছিল। প্রতিপক্ষ বিরাট সিংহ-শাহবাজ নাদিমদের ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল বাংলার। তবে লখনউয়ে, উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার বি গ্রাউন্ডে এক বলও খেলা সম্ভব হল না। বৃষ্টিতে ভেস্তে গেল বাংলার ম্যাচ। 


ভেস্তে গেল বাংলার ম্যাচ


সোমবার বৃষ্টির জন্য বাংলার অনুশীলন ভেস্তে গিয়েছে। এবিপি লাইভে আগেই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল মঙ্গলবারও বৃষ্টি ম্যাচে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। ভিজে মাঠে এক বলও খেলা সম্ভব হল না। তবে শুধু বাংলার ম্যাচ নয়, ইন্দোরে গুজরাত ও হিমাচল প্রদেশের ম্যাচ এবং অন্ধ্রপ্রদেশ ও সৌরাষ্ট্রের ম্যাচও বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছে। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) নিজেদের পরের ম্যাচে ওড়িশার বিরুদ্ধে মাঠে নামবে বাংলা দল। বাংলা ম্যাচ ভেস্তে গেলেও অবশ্য প্রথম দিনে জ্বলে উঠলেন এক কলকাতা নাইট রাইডার্স তারকা। তিনি অন্য কেউ নন, বেঙ্কটেশ আইয়ার (Venkatesh Iyer)।


ব্যাটে বলে অনবদ্য বেঙ্কটেশ


রাজস্থানের বিরুদ্ধে ৩১ বলে অপরাজিত ৬২ রানের ইনিংস খেলেন বেঙ্কটেশ। তাঁর ব্যাটে ভর করেই নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৩ রান তোলে মধ্যপ্রদেশ। জবাবে ১৩৫ রানেই গুটিয়ে যায় রাজস্থান। সেখানেও বল হাতে অনবদ্য পারফর্ম করেন বেঙ্কটশ। এক দুই নয়, ছয় ছয়টি উইকেট নেন কেকেআর অলরাউন্ডার। নির্ধারিত চার ওভারে মাত্র ২০ রান খরচ করেন তিনি।


সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির প্রথম দিনেই আজ এক অভিনব ঘটনা ঘটতে দেখা গেল। ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথমবার ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের প্রয়োগ করল দিল্লি দল। প্রথম ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসাবে দিল্লির হয় মণিপুরের বিরুদ্ধে মাঠে নামলেন ঋত্বিক শকিন (Hrithik Shokeen)। দিল্লির হিতেন দালালের বদলে তিনি মাঠে নামেন।


ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়


আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলার সুবাদে ঋত্বিক এখন ভারতীয় ক্রিকেটের পরিচিত মুখ। ২২ বছর বয়সি এই খেলোয়াড় দিল্লি ও মণিপুরের ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠে নামেন। তিনি নিজের তিন ওভারে ১৩ রান বিনিময়ে দুই উইকেট নিয়ে দিল্লির জয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। এদিন দিল্লি প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত বিশ ওভারে সাত উইকেটের বিনিময়ে ১৬৭ রান তোলে। ওপেনার হিতেন দালালই দিল্লির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান শুরু করেন। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল সাতটি চার ও একটি ছক্কায়। তবে ব্যাট হাতে দারুণ পারফর্ম করলেও, দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁকেই তুলে নেয় দিল্লি।


তাঁর বদলে ঋত্বিক মাঠে নেমে অন্তত পরিসংখ্যানের বিচারে দিল্লির হয়ে সর্বসেরা বোলিং করেন। ঋত্বিকের পাশাপাশি ময়ঙ্ক যাদবও দুই উইকেট নেন। ১৬৮ রান তাড়া করতে নেমে মণিপুর অবশ্য ৯৬ রানের বেশি করতে পারেনি। ৭১ রানে ম্যাচ জেতে দিল্লি। মুম্বইও আজ ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ব্যবহার করে। সাইরাজ পাতিল মুম্বই মিজোরাম ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে নামেন। তিনি ধবল কুলর্কানির জায়গায় মাঠে আসেন। ধবল প্রথম ইনিংসে বল হাতে ১৬ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট নেন। ৯৮ রানেই থেমে যায় মিজোরামের ইনিংস। জবাবে নয় উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় মুম্বই। সাইরাজকে অবশ্য ব্যাটে নামতে হয়নি।