হিন্দোল দে, কলকাতা: গড়ফায় ভেঙে পড়ল পুরনো বাড়ির একাংশ। মৃত্যু হয়েছে গৃহবধূর। কোনওরকমে রক্ষা পেয়েছেন তাঁর স্বামী। বিপজ্জনক অবস্থায় থাকায়, বাড়ির বাকি অংশ ভেঙে দিয়েছে পুরসভা।
কলকাতার বুকে ফের ভেঙে পড়ল বাড়ি! গড়ফায় মৃত্যু হল বছর ৫৫-র গৃহবধূর। কে পি রায় লেনের এই বাড়িতেই থাকতেন মৃত মানা দাস ও তাঁর স্বামী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এদিন বেলা পৌনে একটা নাগাদ হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে একতলা বাড়ির একাংশ। তাতেই চাপা পড়েন মহিলা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, আমরা বাইরে দাঁড়িয়েছিলাম। বৃষ্টি হওয়ার আগে হঠাৎ বাজ পড়ে। তখনই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাড়িটা। মাসিমা চাপা পড়েন। কলকাতা পুরসভার ৯২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মধুছন্দা দেব জানিয়েছেন, পরিবারের পাশে আছি। বাড়িটা বিপজ্জনক, তেমন কিছু ঘোষণা ছিল না। কিন্তু পুরনো বাড়ি। স্থানীয় সূত্রে খবর, ভেঙে পড়া বাড়িটির বয়স ৬০ বছর। দুর্ঘটনার পর এদিন পুরসভার কর্মীরা এসে বাড়ির বাকি অংশ ভেঙে দেন।
চলতি মাসের শুরুতেই এমনই এক বিপত্তি ঘটে পার্ক সার্কাসে। ভরা বাজারে ভেঙে পড়ল চাঙড়। পার্ক সার্কাস বাজারে চাঙড় ভেঙে গুরুতর জখম হলেন এক ক্রেতা। তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বাজারের বেহাল দশা নিয়ে পুরসভার দিকে আঙুল তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। পাল্টা পুরসভার দাবি, ব্যবসায়ীদের সরানো যায়নি বলেই মেরামতি করা যায়নি।
কলকাতা পুরসভার বাজারে বড় বিপত্তি। ভরা বাজারে ভেঙে পড়ল কার্নিশের চাঙড়। গুরুতর আহত হলেন এক ক্রেতা। সোমবার সকাল সোয়া ৮টা নাগাদ কলকাতা পুরসভার ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডে, পার্ক সার্কাস বাজার তখন ক্রেতার ভিড়ে জমজমাট। আচমকাই ঘটল বিপত্তি। স্থানীয় সূত্রে দাবি, তিনতলার কার্নিশ থেকে ভেঙে পড়ে বড়সড় চাঙড়। প্রথম তা পড়ে একটি দোকানের ছাউনিতে। তারপর পড়ে এক ক্রেতার মাথায়। মহম্মদ বিলাল নামে ওই ক্রেতার মাথা ফেটে যায়। আহত ব্যক্তিকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি কর হয়।