হিন্দোল দে, কলকাতা: দূষণ কমাতেই আনা হয়েছিল গ্যাসের অটো (CNG)। কিন্তু সেখানেও গলদ। রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে বেআইনি ভাবে গ্যাস ভরা হচ্ছে অটোয়। গড়িয়া (Garia Station) স্টেশনের কাছে বাঁশপোল এলাকায় রমরমিয়ে চলছে এমনই ব্যবসা- যা কাটা গ্যাসের ব্যবসা হিসেবেই চলতি কথায় পরিচিত। 


এই কাজের জন্য়ই আগেরদিন রাতে গ্য়াস ভরার সময় বিস্ফোরণে জখম হন ওই দোকানের এক কর্মী। পুলিশ সব জেনেও কোনওরকম পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। অন্যদিকে পুলিশের দাবি, অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগেরদিন রাতেই এই এলাকায় রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে অটোয় গ্যাস ভরার সময় বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে জখম হন কাটা গ্যাসের দোকানের কর্মী। দমকলের ২টি ইঞ্জিনের একঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দমকল জানিয়েছে, ছোট্ট দোকানটিতে মজুত ছিল ৬০টি LPG সিলিন্ডার । 


লোকালয়ের মধ্যে এই বেআইনি কারবার (illegal CNG Business) চলছিল কী করে? কেন তা পুলিশ-প্রশাসনের নজর এড়িয়ে গেল? মজুত সিলিন্ডারে যদি বিস্ফোরণ হতো তাহলে কতটা বিপর্যয় হতো তা ভেবেই আঁতকে উঠছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দুর্ঘটনার জেরে দোকানটি সিল করে দিয়েছে পুলিশ।


বুধবারও ওই এলাকায় গিয়েছিল এবিপি আনন্দ। কিন্তু মঙ্গলবার রাতের ঘটনার পরেও ফেরেনি হুঁশ। বুধবার সকালেও বিপজ্জনকভাবে চলছে কাটা গ্যাসের কারবার। গড়িয়া স্টেশন থেকে গঙ্গাজোয়ারা যাওয়ার রাস্তা পাশে দেখা গেল, একটি দোকানে বেআইনিভাবে গৃহস্থের রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে গ্যাস ভরা হচ্ছে অটোতে। ক্যামেরা দেখেই শাটার নামিয়ে গা ঢাকা দিলেন দোকানদার। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসন সব জানে, তাই ব্যবসা চলছে রমরমিয়ে। পুলিশের বক্তব্য, যাঁর দোকান তাঁকে চিহ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোথায় কোথায় এরকম ব্যবসা চলছে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় বুধবার পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।          


একদিকে যখন বেআইনি গ্যাস কারবার হচ্ছে। তখন সিএনজির অভাবে থমকে রয়েছে কলকাতা পুরসভার ওয়াটার স্প্রিঙ্কলার গাড়ি। দূষণ রুখতে এই গাড়ির ব্যবহার করে কলকাতা পুরসভা। জল ছিটিয়ে ধুলো কমানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সিএনজির অভাবেই থমকে রয়েছে এই গাড়ি। তার জেরেই হোঁচট খাচ্ছে দূষণ নিয়ন্ত্রণের কাজও।   


আরও পড়ুন: পুজো করেন বামাক্ষ্যাপার বংশধরেরা! এই পুজোয় জড়িয়ে বহু জনশ্রুতি