পুণে: স্টোকসের সেঞ্চুরির ওপর ভর করে বোর্ডে সাড়ে তিনশোর কাছাকাছি রান তুলে ফেলেছিল ইংল্যান্ড (England Cricket Team)। খাতায় কলমে দুর্বল নেদারল্যান্ডসের (Netherlands) পক্ষে যে কোনওভাবেই সম্ভব নয় ইংল্যান্ডের শক্তিশালী বোলিং অ্যাটাক সামলে এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেওয়া। তবে চলতি বিশ্বকাপে বাটলারদের ক্রমাগত ব্যর্থতা কোথাও একটা অনেকেই ভেবেছিল যে ডাচরা অঘটন ঘটাতেই পারে। তবে শেষ পর্যন্ত তা হল না। ৩৪০ রান তাড়া করতে নেমে ১৭৯ রানেই অল আউট হয়ে গেল স্কট এডওয়ার্ডসের দল। ১৬০ রানে ম্যাচ জিতে নিল বাটলার বাহিনী। চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় জয় এটি ইংল্যান্ডের। 


রান তাড়া করতে নেমে এদিন শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে ডাচ বাহিনী। ম্যাক্সও ওওড ও কলিন অকারম্যান রান পাননি। প্রথম জন ৫ রান দ্বিতীয় জন ১১ রান করেই ফিরলেন প্যাভিলিয়নে। এরপর বারেসি ও সিব্র্যান্ট মিলে একটা পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হতে হয় বারেসিকে। এরপর সিব্র্যান্টও বেশিক্ষণ খেলতে পারেননি। তিনি ৩৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। শেষ দিকে অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস ও তেজা নাদিমুনুরু মিলে একটা মরিয়া চেষ্টা করছিলেন, তবে তাতেও কাজে কাজ কিছুই হয়নি। স্কট ৩৮ ও তেজা ৪১ রানে আউট হয়ে যান। ইংল্যান্ড বেলাারদের মধ্যে মঈন আলি ও আদিল রাশিদ ৩টি করে উইকেট নেন। 


এদিন পুণের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্য়াসোসিয়েশনের স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার আঘাত ছিলই তাছাড়াও চ্য়াম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার যোগ্যতা অর্জনের কঠিন চ্যালেঞ্জ ইংল্যান্ডের কাছে এই ম্যাচ ছিল জয়ের সরণিতে ফেরার জন্য। ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন মালান ও বেয়ারস্টো। বেয়ারস্টো ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে মালান অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন। ৮৭ রান করে আউট হন তিনি। জো রুট ও হ্যারি ব্রুকও বড় রান পাননি। প্রথম জন ২৮ ও দ্বিতীয় জন ১১ রান করে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। যদিও বেন স্টোকস ছিলেন এদিন নিজের পুরনো মেজাজে। ৮৪ বলে ১০৮ রানের ইনিংস খেলে আউট হন ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার। ৬টি বাউন্ডারি ও ৬টি ছক্কা হাঁকান তিনি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন ক্রিস ওকস। ব্রিটিশ অলরাউন্ডার ব্যাট হাতে এদিন গুরুত্বপূর্ণ ৫১ রানের ইনিংস খেলেন। মূলত এই ২ জনের ব্যাটিংয়ের ওপর নির্ভর করেই তিনশোর গণ্ডির কাছে পৌঁছে গিয়েছিল ইংল্যান্ড শিবির। শেষ পর্যন্ত ওকস ফিরলেও স্টোকস দলকে ৩৩৯-এ পৌঁছে দেন শেষ পর্যন্ত।