কলকাতা: আলাদা রাজ্য (seperate state) সময়ের অপেক্ষা, বিস্ফোরক দাবি জিসিপিএ (GCPA Leader) নেতা অনন্ত রায়ের (ananta roy)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (nisith pramanik) সঙ্গে সাক্ষাতের পরই এমন দাবি করেছেন অনন্ত রায়। তিনি বলেন. ‘কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, ১০০ শতাংশ আলাদা রাজ্য হবে।' যদিও প্রশ্নের মুখে নীরব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। 


কী ঘটেছে?
‘আমার তো বিশ্বাস এটি অবিলম্বে হবে। কবে ও কখন হবে সেটা আমি বলতে পারব না। সেটা সরকার বলবে। কিন্তু হচ্ছে‘, বললেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা অনন্ত রায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে রাজ্যভাগের বিপক্ষে? ‘সরকারের যা ঘোষণা করার হয়ে গিয়েছে, বার বার তো করবে না‘, কৌশলী উত্তর জিসিপিএ নেতার। উল্লেখ্য, কদিন আগেই তাঁর জন্মদিনে উপহার পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তাঁর এই হঠাৎ রাজ্যভাগের কথায় ফের আলোড়ন রাজনৈতিক মহলে। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্রেফ এড়িয়ে যান। আদৌ কি আলাদা ইউনিয়ন টেরিটোরি হচ্ছে? এক বাক্যে উত্তর, 'সময়মতো বলে দেওয়া হবে সেটা।' অবস্থান স্পষ্ট করলেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও। বললেন, 'অনন্ত মহারাজ ওখানকার মানুষের জন্য আন্দোলন করছেন। তাঁর দাবি আলাদা, তিনি রাজনৈতিক ভাবে আমাদের সঙ্গেই আছেন। আগামী দিনেও আমাদের সঙ্গেই থাকবেন।’


কী বলছে তৃণমূল?
সরাসরি অনন্ত রায়ের দাবি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তবে তাঁর কথায়, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে বার বার গিয়ে উন্নয়নের সূত্রে গেঁথে রেখেছেন, পাহাড় শান্ত হয়েছে, এত সুন্দর কাজ হচ্ছে, তার পর আলাদা রাজ্যের কোন প্রয়োজন নেই। মানুষও মনে করেন না। কিন্তু দিলীপ ঘোষদের রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা, বিধানসভা ভোটে হেরে যাওয়ার পর গণ্ডগোল পাকাতে হবে। এত কথা না বলে দিলীপ ঘোষ শুধু এক কথায় বলুন, বঙ্গভঙ্গ সমর্থন করেন কি না? বাংলাকে তাঁরা টুকরো করতে চান কি না?' ঘটনা হল, এর আগেও বাংলাভাগের প্রশ্নে তোলপাড় পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। গত বছর উত্তরবঙ্গের জন্য একটি আলাদা রাজ্যের দাবি জানিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন জন বার্লা। কিন্তু গত ১৯ অক্টোবর উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,'ভাল করে কাজ করুন, ভাগাভাগি করবেন না। আমরা বঙ্গভঙ্গ চাই না, সঙ্গ চাই।' তার পরেই অনন্ত রায়ের এমন দাবি।


আরও পড়ুন:ভাল নয় আর্থিক অবস্থা, বেশি ডিএ দিতে গেলে আসতে পারে আর্থিক বিপর্যয়, কার্যত মেনে নিল রাজ্য সরকার