সৌভিক মজুমদার, অনির্বাণ বিশ্বাস: বৃহস্পতিবার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আজ খুলল জিডি বিড়লা, অশোক হল ও মহাদেবী বিড়লা শিশু বিহার। জিডি বিড়লা স্কুলের গেটে নোটিস টাঙিয়ে বলা হয়েছে, যে সব পড়ুয়ার ফি মেটানো রয়েছে, সেই পড়ুয়ারাই ক্লাস করতে পারবে। যাদের ফি বকেয়া রয়েছে তাদের সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি নোটিসে। অর্থাত্, আগের অবস্থানেই অনড় রইল স্কুল কর্তৃপক্ষ। আজ যাদের ফি বকেয়া নেই, সেই পড়ুয়াদেরই স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা সমস্যার কারণ দেখিয়ে বৃহস্পতিবার ওই তিনটি স্কুল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। জিডি বিড়লাকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি চাইলেন অভিভাবকরা। আদালত সূত্রে খবর, মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। আগামীকাল শুনানির সম্ভাবনা।
' স্কুল হচ্ছে মন্দির '
গত বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ফি বকেয়া থাকলেও কোনও পড়ুয়াকে ক্লাস করা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। বিচারপতি বলেন, স্কুল হচ্ছে মন্দির, সেখানে এরকম হলে কিছু বলার নেই। আদালতের পক্ষে কি সব সময় নজর রাখা সম্ভব? মন্তব্য বিচারপতির।সব পড়ুয়াকে নতুন ক্লাসে উত্তীর্ণ করতে হবে এবং তাদের প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। আটকে রাখা যাবে না মার্কশিট।
প্রেক্ষাপট
বেতন নিয়ে রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালতের ওই নির্দেশের পরের দিনই, অভিভাবকদের বিক্ষোভে আইনশৃঙ্খলাজনিত কারণ দেখিয়ে মিন্টো পার্কের অশোক হল গার্লস হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল। রানিকুঠির GD বিড়লা স্কুল এবং বালিগঞ্জের আয়রন মহাদেবী বিড়লা শিশু বিহার - এই তিনটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের, ৬টি ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর শনিবার, কর্তৃপক্ষের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়, যে পড়ুয়াদের কোনও বকেয়া নেই, তাদের জন্য সোমবার থেকে ফের স্কুল খুলবে। এই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে ফের কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিডি বিড়লা স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকদের একাংশ।
জটিলতা কাটাতে রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন জিডি বিড়লা স্কুলের অভিভাবকদের একাংশ।