শহরের উপকথা


গঙ্গার ঠিক অন্য পাড়ে অবস্থান। হেসে খেলে যমজ সন্তান বলা চলে। ঝগরা-ঝাঁটিতে কোনও কালে ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়ে থাকবে। তবে বয়সের সঙ্গে ঘুচেছে মনোমালিন্য, সেতুবন্ধন হয়ে দিনরাত যাতায়াত লেগে রয়েছে। গ্রাম বাংলার মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প বলে মনে হলেও, আসলে এই দাস্তান, দুই শহরের, গঙ্গাপাড়ের কলকাতা এবং হাওড়ার। একই জলে পড়া ছায়া ছুঁয়ে আদিকাল থেকে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তারা (History of Howrah)।


বাংলার রাজধানী কলকাতা বটে। হাওড়া হল সদর শহর। সুউচ্চ অট্টালিকা, বাঁধানো রাস্তার কলকাতা ঝাঁ চকচকে, ধোপদুরস্ত। সেই তুলনায় শিল্পশহর হাওড়ার চেহারায় মেহনতের ছাপ স্পষ্ট। অধিকাংশ কারখানার ঝাঁপ আজ বন্ধ যদিও, কিন্তু সারাদিনের পর গঙ্গার পাড়ে একদণ্ড বসলেই হল। জাহাজের বাঁশি শুনে আজও হু হু করে ওঠে বুক। দাঁত-নখ বেরিয়ে পড়া শহরকে আরও বেশি করে নিজের মনে হয় (All About Howrah)।  




ছবি: হাওড়া পৌরসভার ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত।


জল ও হাওয়া


হুগলি নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত হাওড়া। বাংলায় হাওড় শব্দ থেকে নামকরণ হয়েছে, যার অর্থ জলাভূমি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৯ ফুট উঁচুতে অবস্থান হাওড়ার। ২০১১-র আদমসুমারি অনুযায়ী, জনসংখ্যা প্রায় ১১ লক্ষ। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আর্দ্র ও শুষ্ক জলবায়ুর অধীনে পড়ে হাওড়া। গ্রীষ্ম এবং বর্ষাতেই মূলত বৃষ্টিতে ভেজে শহর। শীতের মরশুমে বৃষ্টি অতি সা




ছবি: হাওড়া পৌরসভার ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত।


ইতিহাস ও ঐতিহ্য


রাজা লক্ষ্মণ সেনের আমলের (১১৭৮-১২০৬) লিপিতে হাওড়ার বেতোড় এলাকার উল্লেখ পাওয়া যায় (বেত্তড় চতুরাকা নামে), অধুনা শিবপুর থানা এলাকাই বেতোড় নামে পরিচিত ছিল বলে মত ইতিহাসবিদদের। পঞ্চদশ শতকের শেষ দিকে বিপ্রদাসের ‘মনসামঙ্গল’ এবং ষষ্ঠদশ শতকে মুকুন্দরামের ‘চণ্ডীমঙ্গলে’ও বেতোড়ের উল্লেখ রয়েছে। জলপথে বাণিজ্য করতে আসা সওদাগররা বেতাইচণ্ডীর কাছে পুজো দিতেন। শিবপুরে আজও বেতাইচণ্ডীর পুজোর চল রয়েছে। সেই নামেই বেতাইতলা বা ব্যাতাইতলা এলাকায় গড়ে ওঠে বসতি।  


সরস্বতী এবং ভাগীরথীর সংযোগস্থলে গড়ে উঠেছিল বেতোড়। সপ্তগ্রামে যাওয়ার পথে এই এলাকাকে সহায়ক বন্দর হিসেবে সম্ভবত ব্যবহার করা হতো। সমুদ্র হয়ে সেখানে এসে ভিড়ত জাহাজগুলি। তার পর ছোট নৌকায় মালপত্র তুলে সপ্তগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিতেন সওদাগররা। ১৫৭৫ সালে বেতোড়ে পা রাখেন সিজার ফেডরিকি। তাঁর লেখায় বৃহৎ বাজারের উল্লেখ পাওয়া যায়। পর্তুগিজ এবং অন্য দেশের নাবিকরা ওই এলাকাকে বন্দর হিসেবে ব্যবহার করতেন বলে জানান তিনি। নিজের লেখায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী লিখেছিলেন, ‘ সাতগাঁওয়ের কাছে (বেতোড়)এর গুরুত্ব ততটাই, যতটা মক্কার কাছে জেড্ডার’।


মুঘল আমলে সাতগাঁও সরকারের অন্তর্ভুক্ত ছিল হাওড়া। সেই সময়ের একাধিক মানচিত্রেও বেতোড়ের উল্লেখ পাওয়া যায়। মুঘলদের তৈরি একটি দুর্গের উল্লেখ পাওয়া যায় স্ত্রেয়ংশম এবং উইলিয়াম হেজেসের লেখায়। পরবর্তী কালে মুঘল সম্রাট ফারুখসিয়ারের সঙ্গে বেতোড়, হরিরাহ-সহ পাঁচটি জায়গাবাবদ সমঝোতা হয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির।




ছবি: হাওড়া পৌরসভার ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত।


আরও পড়ুন: মাটিতে প্রাচীন ইতিহাসের গন্ধ! ২ দিন পরে 'স্বাধীনতা'! চেনা মালদার অচেনা দিক


উত্থান পর্ব


ইংরেজরা কলকাতায় ঘাঁটি গেড়ে বসলে, হাওড়ার গায়েও পরিবর্তনের হাওয়া লাগে। শহরে ছাপ লাগে গায়ে। প্রথমে আর্মেনিয়া থেকে মানুষ জন এসে হাওড়ায় থাকতে শুরু করেন। তার পর একের পর এক দেশ থেকে। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে গঙ্গার পার বরাবর গড়ে ওঠে নির্মাণ। সালকিয়া, শিবপুরে ভিড় জমাতে শুরু করেন ইউরোপীয়রা। বসতি গড়ে ওঠে যেমন, তেমনই গড়ে ওঠে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। মূলত নদী তীরবর্তী এলাকা ইউরোপীয়দের দখলে চলে যায়। পিছু হটতে হটতে ভারতীয়দের জায়গা হয়, ‘পুরানি শহরে’।


১৮২৩ সালে বিশপ হিবার হাওড়াকে মূলত ‘জাহাজ নির্মাণকারীদের বসতি’ বলে উল্লেখ করেন। উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং, চিনিকল, আটাকল গড়ে উঠতে শুরু করে। তার পর একে একে কাপড়ের কল, পাটকল গড়ে ওঠে। গোটা দেশের সঙ্গে হাওড়ার পরিচিতি ঘটে ১৯৫৪ সালে, যখন ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে হাওড়াকে রেলের টার্মিনাল স্টেশন হিসেবে তুলে ধরে। এর ফলে গোটা দেশের সঙ্গে যোগসূত্রের মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায় হাওড়া। ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিস্তার ঘটে হাওড়ায়। হাওড়ার বাজারের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে মুখে মুখে। হাওড়ার তাঁতের হাট, বর্তমানে যা মঙ্গলা হাট নামে পরিচিত, আজও রয়ে গিয়েছে।




ছবি: হাওড়া পৌরসভার ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত।


খোলনলচের আখ্যান


১৮৫৪ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া রেলওয়ের সূচনা হলে ইতিহাসের নতুন অধ্যায়ে পা রাখে হাওড়া শহর। কলকাতার সঙ্গে সংযোগরক্ষায় আগে ভাসমান সেতু ছিল, অর্থাৎ নৌকার উপর পাটাতন চাপিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা। জাহাজ বা স্টিমার এলে মাঝ বরাবর খুলে দেওয়া হতো। তার পর আবার জোড়া লাগিয়ে চলাচল। পরে বিদেশ থেকে আনা সমতল নৌকার উপর ডেক বসিয়ে চওড়া সেতু তৈরি করা হয়। সেই সময়ও তার উপর টোলের ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু জাহাজ চলাচল বেড়ে গেলে বার বার সেতু খোলা, বন্ধ করা নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। আবার ভাসমান সেতুর উপর দিয়ে গরুর গাড়ি চলাচলে হিমশিম অবস্থা হয়।


তাতেই পাকাপাকি ব্যবস্থার তাগিদ অনুভব করে তৎকালীন ইংরেজ সরকার। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চলে আলাপ-আলোচনা, হিসেব-নিকেশ। মাঝে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলেও পরিকল্পনা হোঁচট খায়। সব বাধা পেরিয়ে, আইনসিদ্ধ পথে শেষ মেশ শুরু হয় সেতু নির্মাণের কাজ, ভাসমান সেতুর জায়গাতেই। সেতু তৈরির সিংহভাগ ইস্পাত সরবরাহ করেছিল দেশীয় শিল্প সংস্থা টাটা। অর্থা দেশীয় কাঁচামাল ব্যবহার করেই তৈরি হয় হাওড়া ব্রিজ। পুরনো সেতুর জায়গায় নির্মিত বলে প্রথমে নাম রাখা হয় নিউ হাওড়া ব্রিজ। ১৯৬৫ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম অনুসারে নামকরণ হয় রবীন্দ্র সেতু।




ছবি: হাওড়া পৌরসভার ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত।


অবারিত দ্বার


হাওড়ার সঙ্গে তিব্বতের গভীর সংযোগ রয়েছে। তিব্বতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দূত ছিলেন পুরাণ গিরি।  অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয় ভাগে ভুটানের সঙ্গে তৎকালী তার অধীনস্থ রাজ্য কোচবিহারের সংঘর্ষ বাধে। কোচবিহারের শাসনকার্যের নিয়ন্ত্রণ হাতে রাখতে চেয়েছিল ভুটান। সেই নিয়ে সংঘাত চলাকালীন কোচবিহারের রাজা রুদ্রনারায়ণকে বন্দি করে ভুটান। তাঁর ছেলে ধরেন্দ্রনারায়ণ ওয়ারেন হেস্টিংসের দ্বারস্থ হন। যুদ্ধে ভুটানকে পরাজিত করেন হেস্টিংস। কিন্তু বিনিময়ে কোচবিহারের বার্ষিক রাজস্ব এবং ইংরেজ সেনার ভরণপোষণ দাবি করেন। অন্য দিকে ভুটান দ্বারস্থ হয় তিব্বতের।


সেই সময় তিব্বতের শাসক ছিলেন অষ্টম দলাই লামা, বয়সে ছিলেন নাবালক। তাই শাসনকার্য পরিচালনা করতেন ষষ্ঠ পাঞ্চেন লামা। তিনি কিন্তু হেস্টিংসের সঙ্গে দ্বন্দ্বে যাননি। বরং পুরাণ গিরিকে পাঠিয়ে সমঝোতা করেন। হেস্টিংস এবং তাঁর মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের সূচনাও ঘটে। পাঞ্চেন লামার অনুরোধে গঙ্গার তীরে তিব্বতিদের প্রার্থনার জন্য তাশি লামাকে জমিও দেয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। ঘুসুড়িতে পুরাণ গিরিকে ১০০ বিঘের বেশি জমি দেওয়া হয়। গড়ে ওঠে তিব্বতিদের ধর্মস্থল ভোটবাগান মঠ অর্থাৎ বৌদ্ধবিহার। বর্তমানে গোঁসাই ঘাট স্ট্রিটের সেই বৌদ্ধবিহার বিলীন হওয়ার পথে।




ছবি: হাওড়া পৌরসভার ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত।


হাল-হকিকত


হাওড়া খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্যও পরিচিত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল হাওড়া জেলা স্কুল। ১৮৪৫ সালে গড়ে ওঠে। শিবপুরের বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কারিগরি শিক্ষার অন্যতম পীঠস্থান।  ১৭৮৭ সালে কর্নেল কিডের হাতে পত্তন হয় বোটানিক্যাল গার্ডেনের। প্রসিদ্ধ উদ্ভিদবিদ উইলিয়াম রক্সবার্গ দীর্ঘ সময় সেখানে কর্মরত ছিলেন। শহর ভিন্ন সঙ্গতির মানুষের সহাবস্থানও চোখে পড়ার মতো। একদিকে অভিজাত, ব্যবসায়ী এবং মধ্যবিত্ত বসতি এলাকা যেমন রয়েছে, তেমনই পিলখানা বস্তিও রয়েছে, যার উপর ভিত্তি করে ‘সিটি অফ জয়’ বইটি লেখেন ডমিনিক লাপিয়ের।


স্বাধীনতা সংগ্রামেও হাওড়ার কম অবদান ছিল না। স্বদেশী আন্দোলন থেকে অসহযোগিতা আন্দোলন, আইন অমান্য আন্দোলন থেকে ভারত ছাড়ো আন্দোলন, দলে দলে মানুষ ইংরেজদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। বঙ্গভঙ্গ এবং দেশভাগের বিরুদ্ধেও গর্জে উঠেছিল হাওড়া। শ্রমিক আন্দোলনেরও অন্যতম ভরকেন্দ্র হাওড়া।




ছবি: হাওড়া পৌরসভার ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত।


রোজগারপাতি


হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত হওয়ায় একসময় কাপড়ের কল, পাটকলের রমরমা ছিল হাওড়ায়। সময়ের সঙ্গে যেমন চরিত্র বদলায় শহর, তেমনই বদল আসে ব্যবসা-বাণিজ্যেও। ধীরে ধীরে লোহা, ইস্পাত ব্যবসার পসার বাড়ে। বিগত কয়েক দশকে শহরে জমির দামও আগুন হয়েছে। ফলে পসার বেড়েছে রিয়েল এস্টেট ব্যবসারও। গত কয়েক বছরে গজিয়ে উঠেছে একাধিক শপিং মল। হোটেল-রেস্তরাঁ ব্যবসাতেও বাড়বাড়ন্ত চলছে। শিল্পক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আহরনের ক্ষেত্রে আজও বড় ভরসা হাওড়া। শালিমার, সাঁতরাগাছি হয়ে রেল পথে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাঁচামাল এসে পৌঁছয়। জলপথে পণ্য সরবরাহের সুবিধে যেমন রয়েছে, তেমন গঙ্গা পেরিয়ে কলকাতার সঙ্গেও নির্বিঘ্ন যোগাযোগ। কিন্তু শিল্পশহর হিসেবে একদা যে জৌলুস ছিল হাওড়ার, যে কোনও কারণেই হোক, মরচে পড়েছে গায়ে।


তবে শহর হাওড়ার নিরিখে গ্রামীণ হাওড়াকে নিয়ে উদ্বেগের কারণ রয়েছে। হাওড়ায় মোট পঞ্চায়েতর সংখ্যা ১৫৭। ই-গভর্ন্যান্স নীতি নিয়ে সরকার চললেও, অর্থনীতিকে নিজের পায়ে দাঁড় করাতে এখনও অনেক পথ যাওয়া বাকি। হাওড়ার গ্রামোন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ কমিশন থেকে টাকা আসে। সেই টাকা দিয়ে রাস্তাঘাট, সেতু, জলপ্রকল্পের কাজ সারা হয়। এ ছাড়াও ১০০ দিনের কাজ, স্বনির্ভর শিল্পও রয়েছে। তবে শহরের দিকে রোজগারের যে হাজারো উপায় রয়েছে, গ্রামের দিকে কমতি চোখে পড়ে। কল-কারখানাগুলি ঝাঁপ ফেলে দেওয়ায়, বেড়েছে রোজগারহীনের সংখ্য়াও। তাই দরিদ্র মানুষের হাতে নগদের পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।


রাজনৈতিক পটচিত্র


২০২১ সালে হাওড়া পৌরসভা সংশোধনী বিল পাস হয়। তার ফলে হাওড়ার মোট পৌরসভা ওয়ার্ডের সংখ্যা কমে ৬৬ থেকে ৫০-এ পৌঁছয়। আগেও ৫০টি ওয়ার্ডই ছিল। ২০১৫ সালে ৩৫ ওয়ার্ডের বালি পৌরসভাকে ১৬টিতে পরিণত হরে, হাওড়ার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। ফলে সংখ্যা বেড়ে হয় ৬৬টি। হাওড়া পুরসভায় আগে ৫০টি ওয়ার্ডই ছিল। ২০১৫ সালে ৩৫টি ওয়ার্ডের বালি পুরসভাকে ১৬টি ওয়ার্ডে পরিণত করে হাওড়ার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়।


এই পুনর্বিন্য়াসকে ঘিরে রাজনৈতিক সংঘাত তৈরি হয়েছে। তার জেরে প্রায় পাঁচ বছর ধরে আটকে রয়েছে পৌরসভা নির্বাচন।  ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে হাওড়া পৌরসভার তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হলে বসানো হয় প্রশাসক। ২০১৫-র নির্বাচনে হাওড়া পৌরসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতা দখল করে তৃণমূল।




ছবি: হাওড়া পৌরসভার ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত।


দর্শনীয় স্থান


প্রাচীন এবং নবীনের মেলবন্ধন হিসেবে দেখা যেতে পারে হাওড়াকে। হাওড়া স্টেশন এবং সংলগ্ন এলাকা ঘুরতেই কেটে যেতে পারে একটি গোটা দিন। ঐতিহাসিক হাওড়া ব্রিজের দুই ধারে অজস্র কৌতূহলী মানুষের ভিড় দেখা যায়। একই কথা প্রযোজ্য দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ক্ষেত্রেও। এক দিকে ঐতিহ্যের হাওড়া ব্রিজ, অন্য দিকে, দ্বিতীয় হুগলি সেতু, প্রাচীন এবং নবীনের পাশাপাশি সহাবস্থানের অংশ হতে গঙ্গার বুকে নৌকাবিহারের আসেন দলে দলে মানুষ।


এ ছাড়াও শিবপুরে বোটানিক্যাল গার্ডেন (Botanical Garden), তার অন্দরে থাকা শতবর্ষের বেশি পুরনো বটগাছের আকর্ষণও এড়ানো যায় না। সাঁতরাগাছি ঝিলে পরিযায়ী পাখিদের ছবি তুলতে ভিড় করেন পক্ষীপ্রেমীরা। গাদিয়াড়া, গড়চুমুক, পানিত্রাস-সামতাবেড় চলে যাওয়া যায় একদিনের ছুটিতে।