সোমনাথ দাস, ঘাটাল: জীবিত ব্যক্তির নামের পাশে মৃত লেখার পর শেষে তাঁর জীবনের সাফল্য কামনা করে শংসাপত্র দিল ঘাটাল পুরসভা (Ghatal Municipality)। চেয়ারম্যানের যোগ্যতা নিয়ে সরব নেটিজেনরা। পৌরসভাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও (BJP)।
শংসাপত্রের বয়ান অনুযায়ী জীবিত ব্যক্তির নামের পাশে বসিয়ে দেওয়া হল Late অর্থাৎ মৃত। পরে ওই ব্যক্তির জীবনের সাফল্য কামনা চেয়ে শংসাপত্র দিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল পুরসভা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই শংসাপত্র ভাইরাল হতেই চেয়ারম্যানের যোগ্যতা সরব বিজেপি।
যদিও এ বিষয়ে ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান তুহিনকান্তি বেরা বলেন, ভুলবশত এটা হয়ে গিয়েছে,এই ধরনের ভুল আর হবে না। প্রসঙ্গত ঘাটালের কোন্নগরের এক ব্যক্তি পুরসভায় গিয়েছিলেন তাঁর নামে একটি শংসাপত্র নিতে। শংসাপত্র পাওয়ার পর তিনি দেখেন তাঁর নামের পাশে মৃত লেখা রয়েছে। তারপরেই শোরগোল পড়ে যায় নেট দুনিয়ায়।
চেয়ারম্যানকে কটাক্ষ করে ট্রোল হতে থাকে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। কিছুদিন আগেই পশ্চিম মেদিনীপুরের পাথরা গ্রাম পঞ্চায়েতের দেওয়া এমনই একটি শংসাপত্র ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে হাসাহাসি করতে দেখা গেছিল নেটিজেনদের। সেই শংসাপত্রে দেখা গেছিল, প্রধানের প্যাডে সিল ও সই করা শংসাপত্রে মৃত ব্যক্তির জীবনের উন্নতি কামনা করা হয়েছে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ভুল শংসাপত্র দিয়ে বিতর্কে এবার ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন, এই পেঁয়াজ কাটলেও চোখে আসে না জল! রয়েছে আরও গুণ, জেনে নিন কী কী?
এই ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান তুহিন কান্তি বেরা। আর যার সার্টিফিকেটকে ঘিরে এতো বিতর্ক সেই সেখ মইদুল ইসলাম জানান, "একটি মসজিদে মোয়াজ্জেমের জন্য পৌরসভার সার্টিফিকেট নিতে গিয়েছিলাম কিন্তু আমাকে মৃত বলে উল্লেখ করা হয়, আমি জীবিতই আছি।" আর পৌরসভার এ হেন সার্টিফিকেট দেওয়া ঘিরে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। এ বিষয়ে ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, পৌরসভার যে কর্মী ওই সার্টিফিকেটটি টাইপ করেছে তার যোগ্যতা কত, তিনি কত টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। ওই কর্মীর নিয়োগ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি বিধায়ক। পাশাপাশি তিনি কটাক্ষ করেন পৌরসভার চেয়ারম্যানকেও। এই ঘটনায় শুধু ঘাটাল নই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও।