ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: কোটিপতি কনস্টেবলের (Constable Arrest) গ্রেফতারির প্রায় ২ সপ্তাহ পর বান্ধবীর হদিশ পেল দুর্নীতি দমন শাখা। অন্যদিকে এদিন আদালতে তোলা হলে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ধৃত কোটিপতি কনস্টেবলের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মনোজিৎকে জেলে গিয়ে জেরার আবেদনও এদিন মঞ্জুর করেছে আদালত।                                     


কনস্টেবলের বান্ধবীর হদিশ: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে ৫০ কোটি টাকা আর বহুমূল্য গয়না উদ্ধার করেছিল ইডি। তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশে। কোটিপতি কনস্টেবল মনোজিৎ বাগীশের ক্ষেত্রেও,রাজ্য পুলিশের অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চের আতসকাচের তলায় তাঁর বান্ধবী বুলা কর্মকার।লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেনে তাঁর ভূমিকা কী - সেটা জানাই তদন্তকারীদের মূল উদ্দেশ্য। শেষমেশ মিলল তাঁর হদিশ। দুর্নীতি দমন শাখার দাবি, উপহার হিসেবে বান্ধবীকে প্রায় ১২ লক্ষ টাকার গাড়ি দেন মনোজিৎ বাগীশ। বান্ধবীর অ্যাকাউন্টে ২১ লক্ষ টাকাও ট্রান্সফার করেন কনস্টেবল। মনোজিৎ বাগীশের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করার সময় ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে সম্পর্ক। পরবর্তীতে অন্যজনের সঙ্গে বিয়ের পর সেই টাকা নগদে তুলে শাশুড়ির অ্যাকাউন্টে জমা করেন মনোজিৎ। পুলিশ সূত্রে দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে মনোজিতের বান্ধবী এমনটাই জানিয়েছেন।                                                   


জেল হেফাজতের নির্দেশ: ১৯৯৮ সালে পুলিশে চাকরি পান মনোজিৎ বাগীশ। কিন্তু এই বিপুল সম্পত্তি নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠেছে প্রশ্ন। ৪ বছরেই কীভাবে কোটিপতি হলেন তিনি? ইতিমধ্যে  কোটিপতি কনস্টেবলের ৭৬ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট এবং ১০ লক্ষ টাকার জীবন বিমার হদিশ মিলেছে বলে খবর। পাশাপাশি পুলিশ সূত্রে দাবি, মনোজিৎ বাগীশের আরও ৩টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে। ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ধৃত কোটিপতি কনস্টেবলের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মনোজিৎকে জেলে গিয়ে জেরার আবেদনও এদিন মঞ্জুর করেছে আদালত। আর এবার মনোজিৎ বাগীশের বান্ধবীর হদিশ পেল দুর্নীতি দমন শাখা।                   


আরও পড়ুন: Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতির মামলার তদন্তে ইডির আধিকারিক বদল, নির্দেশ বিচারপতির