সন্দীপ সরকার, কলকাতা : ব্লাড প্রেসারের ওষুধ খেয়েই যাচ্ছেন, কিন্তু নিয়ন্ত্রণে আসছে না? এবার প্রেসারের ওষুধেও বিরাট জালিয়াতির খবর প্রকাশ্যে এল, তাও আবার বহুল ব্যবহৃত পরিচিত ব্র্যান্ডের ওষুধ। নামি এক ওষুধের কোম্পানির বহুল ব্যবহৃত ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করার এক ওষুধ জাল করা হয়েছে , তা মিলেছে কলকাতার কাছাকাছি একটি ওষুধের গুদামে । হাতেনাতে ধরা পড়ার পর, গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তা।
একটি পরিচিত ব্লাড প্রেসারের ওষুধও জাল হচ্ছে। সেই ওষুধ নিয়ে এবার সতর্ক করল রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। হাওড়ার আমতার মান্না এজেন্সি থেকে উদ্ধার হয়েছে একগাদা জাল ওষুধ। রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া জাল ওষুধের মধ্যে ব্লাড প্রেশারের ওষুধ, টেলমা AM পুরোপুরি জাল ! যে ওষুধ জাল করা হয়েছে তার ব্যাচ নম্বর 05240367। ব্যাচ নম্বরের সঙ্গে আসল ওষুধের ব্যাচ নম্বর মিলে গেলেও QR কোড স্ক্যান করলেই গরমিল ধরা পড়ছে।
ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা গ্লেনমার্ক জানিয়েছে, তাদের ওষুধের ব্যাচ নম্বর জাল করা হয়েছে। এরপরেই রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল নির্দেশ দিয়েছে, টেলমা AAM 40-র ওই নির্দিষ্ট ব্যাচ নম্বরের ওষুধের QR কোড স্ক্যান আগে করতে হবে। কুড নট ভেরিফায়েড দেখালে বুঝতে হবে ওষুধটি জাল। গত ২১ ফেব্রুয়ারি আমতা থেকে ১৭ লক্ষ টাকার জাল ওষুধ বাজেয়াপ্ত হয়। গুদাম সিল করে দেয় ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ।
গত ৩ মাসে 'কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের' পরীক্ষায় দেশে ফেল করেছে ৩৯৩ টি ওষুধ। তারমধ্যে বাংলায় 'ফেল' করেছে ৬৬টি ওষুধ। CDSCO-র রিপোর্টে স্পষ্ট, দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলির মতো বাংলার ওষুধের বাজারেও দেদার বিক্রি হচ্ছে জাল এবং নিম্নমানের ওষুধ। CDSCO-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ৩ মাসে এরাজ্যে বিক্রি হওয়া, ৬৬ টি ওষুধ গুণগতমান পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি। তার মধ্যে ডিসেম্বরে ১৭, জানুয়ারিতে ২৪, ফেব্রুয়ারিতে ২৫ টি ওষুধ ড্রাগ টেস্টে ফেল করেছে। সূত্রের খবর, রাজ্যে ৩ মাসে ফেল করা ৬৬ টি ওষুধের মধ্যে রাজ্য সরকারের স্টেট ড্রাগ টেস্টিং ল্যাব মাত্র ২টি ওষুধকে গুণগত মানে অনুত্তীর্ণ বলে রিপোর্ট পাঠিয়েছে কেন্দ্রকে। বাংলার বুকে ফেল করা বাকি ৬৪ টি ওষুধই পরীক্ষা হয়েছে, কলকাতার সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবে।
আরও পড়ুন :
অনলাইন ডায়েটচার্ট নাকি মরণফাঁদ ! ৬ মাস শুধু জল খেয়ে মৃত্যু কিশোরীর