উত্তর দিনাজপুর: গোয়ালপোখরে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান খুনে (Murder Case) গ্রেফতার কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য। তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য। ধৃত কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যের নাম মুস্তফা। বুধবার গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান মহম্মদ রাহিকে। খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য।
রাজ্যে একুশের ভোটের আগে ও পরে, কলকাতা পুরভোট থেকে শুরু করে একের পর এক উপনির্বাচনেও খুনের ঘটনায় যবনিকা পড়েনি। ঝালদা থেকে শুরু করে উত্তর ২৪ পরগনার পাণিহাটি এই ঘটনার সাক্ষী।তার উপর নয়া সংযোজন রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। যা ঘিরে একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটে গিয়েছে। যার রেশ মেটেনি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের পরেও।
সম্প্রতিই হাড়োয়ায় তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। নিহত তৃণমূল (TMC) নেতার নাম শেখ সাহেব আলি। হাড়োয়ার সামলার পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন শেখ সাহেব। রাতে বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে লক্ষ্য় করে চলে এলোপাথাড়ি গুলিবৃষ্টি। প্রায় আট থেকে ১০ রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ সামনে এসেছে। রাস্তায় তৃণমূল নেতার দেহ রেখে মাঝরাত পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে। (Haroa News) তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই এর নেপথ্যে কাজ করছে বলে অভিযোগ পরিবার এবং স্থানীয়দের।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে নদিয়ার (Nadia)হাঁসখালিতে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধৃতের নাম খালেক মণ্ডল। হাঁসখালির রামনগরের বড় চুপড়িয়া গ্রামেই বাড়ি। গতকাল বাজারের মধ্যে চায়ের দোকানে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূলের অঞ্চল সহ সভাপতি আমোদ আলি বিশ্বাসকে। এই ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে হাঁসখালি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল।
কোচবিহারের এবং শীতলকুচিতেও হাড়হিমকরা হত্য়াকাণ্ড ঘটেছিল। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য়, তাঁর স্বামী ও এক মেয়েকে বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা। প্রকাশ্য দিবালোকে ভরা বাজারের মধ্যে প্রথমে গুলি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তারপর তাড়া করে মৃত্যু নিশ্চিত করতে এলোপাথাড়ি একাধিক গুলি চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। নদিয়ার হাঁসখালিতে এভাবেই দুষ্কৃতীরা খুন করেছিল তৃণমূল নেতাকে (TMC Leader Killed)। নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালি থানার রামনগর বড় চুপড়িয়া গ্রামে হাড়হিম করা ঘটনা ঘটেছিল।
আরও পড়ুন, ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি ! কলেজ স্ট্রিটে ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ
এখানেই শেষ নয়, বারবার শিরোনামে এসেছিল চোপড়া। মূলত রক্তাক্ত হয়েছিল চোপড়া, তৃণমূলের হাতে তৃণমূল (TMC) খুনের অভিযোগ উঠেছিল। পঞ্চায়েতে কাকে টিকিট ? বুথ কমিটির বৈঠকে গন্ডগোল, বেরোতেই গুলি (Shoot)কাণ্ড ঘটেছিল।পঞ্চায়েতে টিকিট নিয়ে বচসা হয়েছিল। তৃণমূলের হাতেই ২ তৃণমূলকর্মী খুন হয়েছিলেন।চোপড়ায় বৈঠক থেকে বেরোতেই শ্যুটআউট, তৃণমূলকর্মী খুন হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের বুথ কমিটির বৈঠক থেকে বেরোতেই গুলি, আহত হয়েছিলেন আরও ৩ জন। তৃণমূলের আরেক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেই গুলি করার অভিযোগ উঠেছিল।