সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ফের শহরে সোনা উদ্ধার। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ সোনা। বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের উপর ওই ঘটনাটি ঘটেছে।


পুলিশ সূত্রের খবর, ভোর চারটে নাগাদ একটি গাড়িকে সন্দেহজনকভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সেই গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে ১১ কেজি সোনা। অভিযোগ, ওই টাকা বেআইনিভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গাড়ির চার আরোহীকে আটক করেছে পুলিশ। এমন ঘটনা জল্পনা ছড়িয়েছে। এত টাকা মূল্যের সোনা কীভাবে এল? কোথায় যাচ্ছিল তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।


কী জানাচ্ছে পুলিশ: 
পুলিশ জানিয়েছে, আজ ভোরবেলা ৪টা নাগাদ বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের উপর একটি গাড়ি দাঁড়িয়েছিল। সেখানে তখন পুলিশ টহল দিচ্ছিল। ওি গাড়িকে দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের। সেই গাড়ি আটকে তল্লাশি চালানো হয়। তারপরে গাড়ি থেকে মেলে একাধিক সোনার বাট। ওজন করে দেখা যায় ১১ কেজি সোনা।  গাড়িতে ৪ জন ছিল, তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সন্দেহ হওয়ার পরে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের সন্দেহ, বেআইনি ভাবে আনা হয়েছিল এই সোনা। কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেই সোনা? ওই ঘটনায় কারা জড়িত, তার খোঁজে তদন্তে পুলিশ। 


আগেও বারবার সোনা উদ্ধার:
কলকাতা থেকে সোনা উদ্ধারের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে নগদের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার করেছিল ইডি। চলচি বছরের জুন মাসে বড়বাজারে একটি দোকান থেকে প্রচুর টাকা মূল্যের সোনা উদ্ধার করেছিল কাস্টমস। ওই দোকানে বিদেশ থেকে বেআইনিভাবে আনা ৯ কেজির বেশি সোনা লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা। তারও আগে চলতি বছরেই, জোড়াসাঁকো, হাওড়া ও নদিয়ায় হানা দিয়ে মোট ২ কোটি টাকা মূল্যের সোনা উদ্ধার করেছিল শুল্ক বিভাগ। তার কদিন আগেই কলকাতা বিমানবন্দ থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রায় দেড় কেজি সোনা। কলকাতার পাশাপাশি জেলাতেও মিলেছে বেআইনি সোনার হদিশ। মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায় পাচারের আগে উদ্ধার করা হয়েছিল সোনার বিস্কুট। তারও আগে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত স্টেশনে শিয়ালদহগামী স্টেশন থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল বেশ কিছু সোনার বিস্কুট। 

আরও পড়ুন:  'টাকা যেত ২ মিডলম্যানের মাধ্যমে', সিবিআই-র আদালতে শান্তিপ্রসাদকে ঘিরে বিস্ফোরক তথ্য