হিন্দোল দে, কলকাতা: গল্ফগ্রিন থানার পুলিশের বিরুদ্ধে যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ঘিরে তুলকালাম আজাদগড় এলাকা। গোটা ঘটনায় সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ পরিবার। c গল্ফগ্রিন থানার অন্তর্গত কলাবাগান লেনে ওই বাড়ির খোঁজ মিলেছে।
কেন নজরে এই বাড়ি:
স্থানীয়দের একাংশের দাবি, দিন-রাত ধরে ওই বাড়িতে তাণ্ডব চলে। তাঁদের দাবি, সেটি একটি পরিত্যক্ত বাড়ি, সেখানে দিনরাত ধরে নেশার সামগ্রী কেনা-বেচা চলে। ঘটনার দিন, ওই বাড়িতে চিৎকার শোনা গিয়েছিল। এবার সেই পরিত্যক্ত গেল ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ। তাহলে এই বাড়িতেই কি যুবককে মারধর করা হয়েছিল? উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। ওই ঘটনায় আগেই গল্ফ গ্রিন থানার তিনজনকে ক্লোজ করা হয়েছে।
কী অভিযোগ:
পুলিশের মারধরে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল গল্ফগ্রিন থানা এলাকায়। দীপঙ্কর সাহা নামে এক যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। পরে এম আর বাঙুর হাসপাতালে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। মৃত দীপঙ্কর সাহার পরিবারের সদস্যদের দাবি, গত ররিবার দুপুর ২টোর সময় দীপঙ্করকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ি থেকে নিয়ে যায় গল্ফগ্রিন থানার পুলিশ। অভিযোগ, রাত ৯টার সময় দীপঙ্করকে গুরুতর আহত অবস্থায় আজাদগড় মোড়ে ফেলে রেখে দিয়ে চলে যায় তারা। এরপর থেকে অসুস্থই ছিল দীপঙ্কর। পরিবারের সদস্যদের দাবি, ওই ঘটনার পরে বুধবার দীপঙ্কর অসুস্থ বোধ করায়, তাঁকে নিয়ে যাওয়া শিশুমঙ্গল হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে তাঁকে ওই রাতেই বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়। ঠিক তার পরেরদিন, বৃহস্পতিবার রাতে ফের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন দীপঙ্কর। তখন তাঁকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শুক্রবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। সামনে এসেছে থানার সামনে সিসিটিভি ফুটেজও। সেখানে দীপঙ্করকে সঙ্গে নিয়ে দুই পুলিশকর্মী বেরিয়ে যাচ্ছেন বলে দেখা যাচ্ছে।
এই ঘটনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। বাম ও বিজেপি, দুই দলের তরফেই আলাদা আলাদা করে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করা হয়েছে। রবিবার দীপঙ্করের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে তাঁদের বাড়ি যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।