কলকাতা: “কেউ আমাকে দায়িত্বশীল বলেছেন দেখে ভালো লাগল।’’ গতকাল যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় একশ শতাংশ দায় রাজ্যপালের বলে বিধানসভায় মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেই প্রেক্ষিতেই কটাক্ষ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের।


কটাক্ষ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের: যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ে (Jadavpur University) জীবন গড়তে এসে, মাত্র ১৭ বছর বয়সে জীবনটাই চলে গেছে নদিয়ার বাসিন্দা মেধাবী ছাত্রের। মৃত্য়ুর কারণ হিসেবে উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর র‍্যাগিং-এর অভিযোগ। যাদবপুরের মতো পাঁচতারা বিশ্ববিদ্য়ালয়ে এই ঘটনায় কর্তৃপক্ষের দায় নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠছে রাজ্য় সরকারের দায়িত্ব নিয়ে যেমন নানা মহলে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। আবার উল্টো দিকে যেহেতু রাজ্য়পাল বিশ্ববিদ্য়ালয়ের আচার্য এবং তিনিই বর্তমানে অস্থায়ী উপচার্য নিয়োগ করছেন এবং ছাত্র মৃত্য়ুর ঘটনার সময় যাদবপুরে কোনও স্থায়ী উপাচার্য ছিল না, তাই রাজ্য়পালকে লাগাতার কাঠগড়ায় তুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী থেকে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা।

মঙ্গলবারই এনিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। ব্রাত্য় বসু বলেন,যাদবপুরের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য রাজ্যপাল ১০০ শতাংশ দায়ী। রাঘবন কমিটি যে সুপারিশ করেছিল সেই সমস্ত নির্দেশিকা আমাদের রাজ্যের ৩০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে। আমরা নির্দেশিকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। কিন্তু এই নির্দেশিকা কার্যকর করার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।                                 

এর আগেও, যাদবপুরকাণ্ডে রাজ্য়পালকে আক্রমণ করে, শিক্ষামন্ত্রী সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তো রাজ্যপালের নিয়ন্ত্রণে! তাহলে এটা তো তাঁরই ব্য়র্থতা। তারই প্রত্য়ুত্তরে বুধবার রাজ্য়পাল বললেন, এতে তিনি গর্বিত। কারণ, কেউ স্বীকার করেছে, তিনি একজন দায়িত্বশীল রাজ্য়পাল। সি ভি আনন্দ বোস বলেন, “আমি খুবই গর্বিত, কেউ স্বীকার করছেন আমি একজন দায়িত্বশীল গভর্নর।’’

উপাচার্য নিয়োগের ক্ষমতা রাজ্য় সরকারের তৈরি কমিটির থাকা উচিত না কি রাজ্য়পালের, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্য়েই জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। যদিও রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সিদ্ধান্তে আপাতত হস্তক্ষেপ করেনি সুপ্রিম কোর্ট। দু’সপ্তাহ পরে মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে। এই সময়ের মধ্যে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে দু’পক্ষ আলোচনায় বসে সমাধানসূত্র বার করা যায় কি না দেখবে সর্বোচ্চ আদালত।


আরও পড়ুন: Board Exam: এবার থেকে বছরে ২ বার বোর্ডের পরীক্ষা, জানাল শিক্ষামন্ত্রক