কলকাতা: “বাংলার দুটি শত্রু, দুর্নীতি ও হিংসা। দুর্নীতি রুখতে মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছিলেন, আমরা তাই করছি।’’ রাজভবনে 'অ্যান্টি করাপশন সেল' প্রসঙ্গে মন্তব্য রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের (Governor)।


পিসরুমের পর, অ্যান্টি করাপশন সেল। শিক্ষাক্ষেত্রে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষাপটে এবার, রাজভবনের অন্দরেই দুর্নীতি-বিরোধী কক্ষ খুলেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্য়পালের এই পদক্ষেপের যখন কড়া সমালোচনায় সরব তৃণমূল। তখন কী কারণে এই অ্য়ান্টি করাপশন সেল খুলেছেন, তার যুক্তি দিতে গিয়ে কৌশলে মুখ্য়মন্ত্রীর বক্তব্য়কেই হাতিয়ার করলেন রাজ্য়পাল। এদিন রাজ্যপাল বলেন, “কাউকে টাকা দেবেন না। আমরা চুরি বরদাস্ত করব না। যদি কেউ টাকা চায়, তার ছবি তুলে রাখুন। সেটা আমাকে পাঠান। আপনারা বলতে পারেন, এটা কে বলেছেন? এই অনুপ্রেরণা থেকেই আমি অ্য়ান্টি করাপশন সেল খুলেছি।’’

সি ভি আনন্দ বোসের কথায়, 'কোচবিহারে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'কাউকে টাকা দেবেন না, আমরা চুরি বরদাস্ত করব না। আমরাও সেটাই করছি, কেউ দুর্নীতি করলে, অ্যান্টি করাপশন সেলে রিপোর্ট করুন। আমরা যথাযথ জায়গায় পৌঁছে দেব। রাজভবন তার লক্ষ্মণরেখার মধ্যে থেকেই কাজ করবে। অ্যান্টি করাপশন সেল'-এর মাধ্যমে যাদের কণ্ঠ রুদ্ধ, তাদের কণ্ঠে স্বর দেওয়ার চেষ্টা করছি। বন্ধুহীনদের বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করছে রাজভবন।


'অ্যান্টি করাপশন সেল' খুললেন রাজ্য়পাল: পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর, সরাসরি সন্ত্রাসের অভিযোগ শুনতে, রাজভবনে খুলেছিলেন পিসরুম। এবার শিক্ষাক্ষেত্রে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষাপটে, সেই ঘরেই 'অ্যান্টি করাপশন সেল' খুলেছেন রাজ্য়পাল সি ভি আনন্দ বোস। যা রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের মধ্য়ে সংঘাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মঙ্গলবার এনিয়ে আরও সুর চড়িয়েছিলেন তিনি। তৃণমূল বিধায়ক ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু গতকাল বলেছেন, “সম্পূর্ণভাবে একটা রাজভবন থেকে যেভাবে উচ্চশিক্ষাকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা চলছে, এটা একটা অ-বিজেপি শাসিত রাজ্য, যেকোনও রাজ্য়েই এই চেষ্টা চলছে। তবে এই রাজ্য়ে নজিরবিহীন। উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনা না করে, এটা যখন উনি করছেন, তখন উনি ধরে নিচ্ছেন প্রতিষ্ঠান দুর্নীতির আখড়া। নজিরবিহীন, অগণতান্ত্রিক। শীর্ষ আদালতে যাওয়ার কথা ভাবনাচিন্তা করছি।’’


আরও পড়ুন: Kolkata Dhaka Bus Service: আরও দৃঢ় দুই বাংলার মৈত্রী! নতুন রুটে কলকাতা-ঢাকা বাস পরিষেবা চালু