আব্দুল ওয়াহাব, বসিরহাট: আরও দৃঢ় হচ্ছে দুই বাংলার বন্ধন। এবার আরও একটি রুটে কলকাতা-ঢাকা বাস (Kolkata Dhaka Bus Service) পরিষেবা চালুর ভাবনা। দুপারের যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতেই এই উদ্যোগ। বসিরহাট ঘোজাডাঙা সীমান্ত দিয়ে চলবে বাস। এদিন তারই মহড়া হল সীমান্তে।


আরও একটি পথে জুড়বে দুই বাংলা: ভারত বাংলাদেশের যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে চালু হচ্ছে কলকাতা-ঢাকা বাস পরিষেবা। এদিন শুরু হল তারই মহড়া। ঢাকা থেকে একটি বাস সরাসরি যাত্রীদের নিয়ে আসে বাংলাদেশের ভোমরা বর্ডারে। ঘোজাডাঙা হয়ে সরাসরি তাঁদের নিয়ে যাওয়া আসা হয় কলকাতায়। ঠিক একই ভাবে কলকাতা থেকেও একটি মিনি বাস করে যাত্রীদের ঘোজাডাঙায় নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে বাংলাদেশে ভোমরা বর্ডারে নিয়ে গিয়ে ঢাকাগামী বাসে তুলে দেওয়া হয় যাত্রীদের।                    


ঘোজাডাঙা স্থল বন্দর দিয়ে দু’দেশের যাত্রীদের যাতায়াত দীর্ঘদিনের। তবে পরিবহন ব্যবস্থা সেই তুলনায় খুবই নগণ্য। তাই সরাসরি বাস পরিষেবা চালু হলে দুদেশের যাত্রীদের ভোগান্তি কমবে। পাশাপাশি দুঘণ্টা সময় কম লাগবে এই রাস্তা দিয়ে। এমনটাই দাবি গ্রিনলাইন পরিবহনের কর্ণধার সঞ্জয় মজুমদারের। যাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবে মঙ্গলবার তার মহড়া শুরু হল এপারের ঘোজাডাঙা সীমান্ত ও ওপারের ভোমরা বর্ডারে। মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা থেকে সরাসরি যাত্রী নিয়ে একটি বাস পৌছায় ভোমরা সীমান্তে। অপরদিকে কলকাতা থেকে একটি বাস যাত্রী নিয়ে আসে ঘোজাডাঙা বর্ডারে। আপাতত যাত্রী এক্সচেঞ্জ করে আজকের মহড়া সম্পন্ন হয়। আগামী এক মাসের মধ্যে সরাসরি এই পরিষেবা চালু হবে।                            


বাংলাদেশের যাত্রীদের ফুল মিষ্টি দিয়ে অভ্যর্থনা জানান ঘোজাডাঙা এক্সপোর্টাস্ ও ইমপোর্টাস্ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। সরাসরি যাত্রী পরিষেবা তাঁদের দীর্ঘ দিনের দাবি। ব্যবসায়ী রাজু সাহাজি বলেন এই পথে পরিবহন ব্যবস্থা চালু থাকলে আমদানি রফতানি ব্যবসার ভিত আরও সুদৃঢ় হবে। এই পরিষেবা চালু হওয়াতে খুশি বাংলাদেশী যাত্রীরা। পরিষেবা চালু হয়ে দুই বাংলার নতুন দুয়ার উন্মোচন হবে। বাংলাদেশের ঢাকা, সাতক্ষীরা, খুলনা ও ভারতের বসিরহাট, কলকাতার মানুষের আত্মীয়তা ও ব্যাবসার বন্ধন আরও মজবুত হবে এমনটাই দাবি ওপার বাংলার যাত্রী শেখ মাহিনুল হকের।


আরও পড়ুন: South 24 Parganas: বইছে ঝোড়ো হাওয়া, উত্তাল সমুদ্র, পরিস্থিতি মোকাবিলায় খোলা হল কন্ট্রোল রুম