বিজেন্দ্র সিংহ, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও আশাবুল হোসেন, নয়াদিল্লি : মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Chief Minister Mamata Banerjee) উপস্থিতিতে রাজ্য়পাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose) বাংলায় হাতেখড়ি নিয়ে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। গতকাল রাতেই দিল্লি যান রাজ্য়পাল। কিন্তু, যে জল্পনা সামনে এসেছিল, যে তিনি উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড় (Vice President Jagdeep Dhankar) এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে দেখা করবেন। কিন্তু কারও সঙ্গেই তাঁর সাক্ষাত হয়নি। সিপিএমের (CPM) প্রশ্ন, গোটাটাই সেটিংয়ের চিত্রনাট্য় নয় তো ? রাজনীতিতে প্রতি মুহূর্তে সমীকরণ বদলায়। তাই শেষ বলে কিছু নেই। শনিবার রাজ্য়পালের বাংলায় ফেরার কথা। 


প্রধানমন্ত্রীর পরীক্ষা পে চর্চায় যোগ


কেউ ভেবেছিলেন বৃহস্পতিবার মুখ্য়মন্ত্রীর উপস্থিতিতে ঘটা করে বাংলায় হাতেখড়ি নেওয়া, ভাষণের শেষে জয় বাংলা বলার পরই, দিল্লিতে হয়ত বিজেপি বড় নেতারা ক্লাস নিতে ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্য়পালকে! অনেকের কথায় সেরকম ইঙ্গিতও মিলতে শুরু করেছিল! কিন্তু, দিল্লিতে শুক্রবার দিনভর প্রকাশ্য়ে অন্তত রাজ্য়পালকে এরকম কোনও হেভিওয়েট বৈঠক করতে দেখে যায়নি! তিনি দিল্লির মন্দিরমার্গে রাইসিনা বঙ্গীয় স্কুলে প্রধানমন্ত্রীর 'পরীক্ষা পে চর্চা'য় (Prime Minister Pariksha pe Charcha) যোগ দেন। কথা বলেন পড়ুয়া ও শিক্ষকদের সঙ্গে। সেলফি তোলেন। প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন !


সেটিং তরজা 


জল্পনা জোরাল হলেও, অমিত শাহ বা জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে তাঁর এদিন কোনও সাক্ষাৎও হয়নি। তাই বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন হচ্ছে, ধনকড়ের সঙ্গে তৃণমূলের চূড়ান্ত সংঘাতের পর, এখন আবার আনন্দ বোসের এমন সুস্পর্ক, যা দেখে আবার বঙ্গ বিজেপির নেতাদের ব্য়াপক গোঁসা, সব মিলিয়ে, নেপথ্য়ে আসল গল্পটা কী ? সিপিএমের (CPM) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) বলেছেন, 'সবই হচ্ছে সেটিং, যা বলছে তাই করছে, যদি তাতেখড়ি দিতেই হত, রাস্তায় যাঁরা চাকরি না পেয়ে বসে আছেন, তাঁদের থেকে নিতে হত।'  রাজ্য বিজেপির (BJP) মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya) বলেছেন, 'সিপিএম শূন্য়। তাই এসব বলছে'। এদিকে, রাজ্যপালের বাংলায় 'হাতেখড়ি'কে এবার তীব্র কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। 'এই ধরনের নাটক রাজ্যপালের শোভা পায় না। যে কিছু জানে না, তাঁরই হাতেখড়ি হয়। যিনি সব জেনে গেছেন, তাঁর হাতেখড়ি হয় না। রাজ্যপাল অন্যের বুদ্ধিতে পরিচালিত হচ্ছেন। রাজ্যপালের পদের গরিমা আছে, এইসব ছোটখাটো বিষয়ে না জড়ানো উচিত। আশা করব ভবিষ্যতে রাজ্যপালের পদের মর্যাদা রক্ষা করবেন', মন্তব্য বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের। 


আরও পড়ুন- ডিএ-র দাবিতে পথে সরকারি কর্মীরা, মিছিল-অবস্থানে প্রশ্ন অপেক্ষা আর কতদিন ?