রাঁচি: ছোট শহর থেকে উঠে এসে একটা সময় বিশ্ব ক্রিকেটকে শাসন করেছেন। মেট্রো সিটি ছাড়া অন্য কোনও শহর থেকেও যে ভারতীয় ক্রিকেটের মূল স্রোতে জায়গা করে নেওয়া যায়, সেটা প্রথম দেখিয়েছিলেন তিনি। ভারতীয় দলের সফলতম অধিনায়ক। সাফল্যের ঝুলিতে রয়েছে জোড়া বিশ্বকাপ ও একটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আইপিএলেও চোখধাঁধানো কীর্তি।
সেই মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (MS Dhoni) শুক্রবার রাঁচিতে ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হাজির হয়ে গেলেন ভারত-নিউজিল্যান্ড (Ind vs NZ) টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দেখতে। সঙ্গে স্ত্রী সাক্ষী (Sakshi)। ভি আই পি বক্সে বসে ভারতের ম্যাচ দেখলেন ক্যাপ্টেন কুল।
নিউজিল্যান্ড ইনিংসের মাঝেই ম্যাচের সম্প্রচারকারী চ্যানেলের ক্যামেরায় সস্ত্রীক ধোনিকে দেখা যায়। ক্যামেরা তাঁকে ধরেছে বুঝতে পেরেই হাত নাড়েন ধোনি। সঙ্গে সঙ্গে উত্তাল হয় গ্যালারি। গর্জন ওঠে ধোনি... ধোনি...। স্টেডিয়ামে তাঁর নামাঙ্কিত স্ট্যান্ডও রয়েছে একটি। ক্যামেরায় সেই স্ট্য্যান্ডও দেখানো হয়। ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তিকে দেখে উদ্বেলিত হয় গ্যালারি।
রাঁচি পৌঁছেই হার্দিক পাণ্ড্য, যুজবেন্দ্র চাহালরা গিয়েছিলেন ধোনির বাড়িতে। পরে ধোনিও এসেছিলেন ভারতের প্র্যাক্টিসে। ভারতীয় ক্রিকেটারেরা তাঁর সঙ্গে সময় কাটান।
বৃহস্পতিবার ভারতের প্র্যাক্টিসের সময় হাজির হয়ে গেলেন এক কিংবদন্তি। যাঁকে দেখে খুশিতে ডগমগ হার্দিক পাণ্ড্য, ঈশান কিষাণ বা বাংলার মুকেশ কুমাররা। হাতে ডাব। পিঠে রুকস্যাক। পরনে নীল জংলা ছাপ জার্সি। নতুন হেয়ারস্টাইল। ঠোঁটের কোণায় ঝকঝকে হাসি।
তিনি, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (MS Dhoni)। ভারতের হয়ে জোড়া বিশ্বকাপ ও একটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী অধিনায়ক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। কিন্তু ভারতীয় ড্রেসিংরুম এখনও আগের মতোই উদ্বেলিত হয় ধোনিকে দেখে।
আপাতত রাঁচিতেই আইপিএলের জন্য প্রস্তুতি সারছেন ধোনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেললেও আইপিএল খেলছেন ক্যাপ্টেন কুল। এদিকে ভারতীয় দলও রয়েছে রাঁচিতে। যেখানে পা রেখেই ধোনির সঙ্গে দেখা করতে ছুটেছিলেন হার্দিক। তারপরই ভারতের প্র্যাক্টিসের ফাঁকে দেখা গেল ধোনিকে।
ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে হার্দিক বলেন, 'দারুণ লাগছে। মাহি ভাই আছে শহরে। দেখা করার সুযোগ পাওয়া যায়। ক্রিকেটের জন্য এত ঘুরতে হয় যে, বেশি দেখা সাক্ষাতের সুযোগ হয় না। মাহি ভাইয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম। এত ঠাসা ক্রীড়াসূচি যে এক হোটেল থেকে আরেক হোটেলেই সময় কেটে যাচ্ছে।' যোগ করেছেন, 'যখন মাহি ভাইয়ের সঙ্গে খেলেছি তখন অনেক পরামর্শ নিয়েছি। এখন দেখা হলে চেষ্টা করি ক্রিকেটকে দূরে সরিয়ে জীবনের অন্যান্য বিষয় নিয়ে বেশি কথা বলার। যখন একসঙ্গে খেলতাম, ক্রিকেট নিয়ে ধোনি ভাইকে প্রায় নিংড়ে নিয়েছি।'