রুমা পাল, কলকাতা: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত আবহেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (President Droupadi Murmu) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose)। রাষ্ট্রপতি ভবনে দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন তিনি। বাংলায় শিক্ষার উন্নতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বায়ত্ত্বশাসনের পক্ষে কী পদক্ষেপ, রাষ্ট্রপতিকে রিপোর্ট দিলেন রাজ্যপাল।
যা জানা গেল...
সূত্রের খবর, বাংলায় শিক্ষার উন্নতির জন্য রাজ্যপাল কী কী পদক্ষেপ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্ত্বশাসনের জন্য কী কী পদক্ষেপ করেছেন, সে সবেরই বর্ণনা দেওয়া রয়েছে ওই রিপোর্টে। প্রসঙ্গত, দিনচারেক আগেই স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি তৈরি করে দেওয়ার কথা জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য সরকার, আচার্য এবং ইউজিসি-কে ৩-৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয় ওই নির্দেশে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নাম পাঠানোর নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সে দিনের শুনানিতে রাজ্যপালের আইনজীবী শীর্ষ আদালতে বলেন, 'শিক্ষামন্ত্রী নিয়মিত সংবাদ মাধ্যমে আচার্যের মানহানি করছেন।' 'আমরা এসবের মধ্যে যাব না, আপনার মত আলাদা হতেই পারে। আমাদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় এবং ছাত্ররা গুরুত্বপূর্ণ,', বলে সুপ্রিম কোর্ট। শুনানির সময় শীর্ষ আদালত স্পষ্ট বুঝিয়ে দেয় যে, এই পরিস্থিতির অবসান হওয়া প্রয়োজন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ এবং শিক্ষার মানই সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, স্পষ্ট ছিল সেই নির্দেশে।
প্রেক্ষাপট...
স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত আদালতে গড়ায় সপ্তাহখানেক আগেই। উপাচার্য নিয়োগ বিল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে। উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত বিল ফেলে রাখার অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। সাংবিধানিক সঙ্কটের অভিযোগে ওই মামলা দায়ের করা হয়। সেই নিয়ে রাজ্যপালের কাছে হলফনামাও চেয়ে পাঠায় আদালত। ২০২২ সালের জুন মাসে উপাচার্য নিয়োগ বিল পাস হয় বিধানসভায়। সেই বিল রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয় ওই বছর ১৫ জুন। কিন্তু তার পর এক বছরের বেশি সময় কেটে গেলেও, ওই বিলে রাজ্যপাল সই তো করেনইনি, কোনও পদক্ষেপই করেননি বলে অভিযোগ। বরং উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত বিল ইচ্ছাকৃত ভাবে ফেলে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই নিয়েই সাংবিধানিক সঙ্কটের অভিযোগে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। আদালতে মামলাকারী জানান, রাজ্যপালের কাছে যখন কোনও বিল পৌঁছয়, তিনটি কাজ করতে পারেন তিনি, ১) সম্মতি জানিয়ে বিলটিতে সই করতে পারেন, ২) কোও সংশোধনের প্রয়োজন হলে পরামর্শ দিতে পারেন, বা পরামর্শ ছাড়াও বিল ফেরত পাঠাতে পারেন, ৩) বিলটি রাষ্ট্রপতির কাছে ফেরত পাঠাতে পারেন তিনি। কিন্তু এক্ষেত্রে কোনমও পদক্ষেপই করা হয়নি। ফলে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের বিষয়টি ঝুলে রয়েছে। রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তহীনতায় সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেন মামলাকারী।
আরও পড়ুন:এবার বছরে দু'বার উচ্চ মাধ্যমিক? কীভাবে হবে পরীক্ষা?