রুমা পাল, কলকাতা: বাংলাকে নিয়ে বই লিখছেন রাজ্য়পাল। একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নিজেই জানালেন সিভি আনন্দ বোস। ইতিমধ্যেই বই লেখা শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের অনুরাগী তিনি। তাই নিজের নামের সঙ্গে বোস পদবী ব্যবহার করেন। বাংলার সঙ্গে তাঁর আত্মিক টান। তিনি। রাজ্য়পালের আশা এই বই তাঁর লেখা অন্যতম সেরা বই হবে।
রাজ্য়পাল হওয়ার পর বাংলায় হাতে খড়ি দিয়েছেন সিভি আনন্দ বোস। এবার বাংলা নিয়ে বইও লিখতে শুরু করলেন তিনি।
বইয়ের সম্ভাব্য নাম soul of bengal. বৃহস্পতিবার একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাজ্যপাল জানালেন ইতিমধ্যেই বই লেখার কাজ শুরু করেছেন তিনি। সিভি আনন্দ বোসের আশা বাংলাকে নিয়ে তাঁর লেখা বই অন্যতম সেরা বই হবে। এদিন বিশিষ্ট লেখক অজিত মেনন ও অনিল ভার্মার লেখা একটি বই প্রকাশ করেন রাজ্যপাল।
এদিকে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত আরও তীব্র হয়েছে গতকালই। বারবার বলা সত্ত্বেও কেন পাঠানো হয়নি সাপ্তাহিক কাজের রিপোর্ট? প্রশ্ন তুলে ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শোকজ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C. V. Ananda Bose)। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক লেনদেন নিয়ে রাজভবনের বিজ্ঞপ্তি সাপ্তাহিক কাজের রিপোর্ট তলব করা হয়েছিল। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সারপ্রাইজ ভিজিটের পর আরও একধাপ এগিয়ে ৬ উপাচার্যকে শোকজ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস!
সম্প্রতি রাজভবনের তরফে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তি ঘিরে রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের সংঘাত শুরু হয়। যেখানে বলা হয়েছিল, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে আগে আচার্য তথা রাজ্যপালের অনুমোদন নিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কাজ হচ্ছে, তা রিপোর্ট আকারে, প্রতি সপ্তাহের শেষ কাজের দিনে, ইমেল করে রাজভবনকে জানাতে হবে। উপাচার্যরা যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরাসরি আচার্যের সঙ্গে টেলিফোন অথবা ইমেল মারফত কথা বলতে পারবেন। রাজভবনের এই বিজ্ঞপ্তি ঘিরে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, 'রাজ্যপালের সম্মান রেখেই বলব, এই নির্দেশিকা যেন প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু তারপরও বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার তো করা হয়নি, উল্টে রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সারপ্রাইজ ভিজিট করেন রাজ্যপাল এবং আচার্য সিভি আনন্দ বোস।