বাচ্চু দাস, দার্জিলিং: সঙ্গীতশিল্পী কে কে-র মৃত্যু (KK Death) নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Governor Jagdeep Dhankhar)। দিল্লি যাওয়ার পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের মন্তব্য, ‘কোনও রিস্ক ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থা ছিল না।' 


কে কে-র মৃত্যু প্রসঙ্গে রাজ্যপাল


'কোনও রিস্ক ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থা ছিল না। কত দর্শক আসবেন, তার ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত ছিল। সংকটের সময় সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।’ কে কে-র মৃত্যু প্রসঙ্গে মন্তব্য রাজ্যপালের। 


এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের জগদীপ ধনকড় কে কে-র মৃত্যু ও নজরুল মঞ্চের উপচে পড়া ভিড় প্রসঙ্গে বলেন, 'আমার হৃদয় কাঁদছে। এর থেকে বেশি অব্যবস্থা যেন হতেই পারে না। এর থেকে বেশি ম্যানেজমেন্টে অসাফল্য হতেই পারে না। যদি খতিয়ে দেখা হয়, তাহলে বোঝা যাবে যাঁদের সেদিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার দায়িত্ব ছিল, যাঁদের সেদিন লোকসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখার কথা ছিল, সঙ্কটের সময়ে সুরাহা বের করা যাঁদের দায়িত্ব ছিল, সেই ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অসফল সকলে।'


আরও পড়ুন: Rupankar Bagchi Update: 'বরটা বড়ই বোকা, দুনিয়াদারিতে নেহাত কাঁচা', বিতর্কের মাঝে পোস্ট রূপঙ্কর-পত্নীর


কে কে-র মৃত্যু ঘিরে একাধিক প্রশ্ন


সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের নজরুল মঞ্চ থেকে ধর্মতলার ওবেরয় গ্র্যান্ড হোটেল। তারপর সেখান থেকে ডায়মন্ড হারবার রোডের CMRI হাসপাতাল। অসুস্থ শরীরে এতটা পথ পেরনোই কি কাল হল কেকে’র? হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে চিকিৎসার জন্য যে ‘গোল্ডেন পিরিয়ড’ থাকে, এত দূরে নিয়ে যেতে গিয়ে সেই সময়টা নষ্ট হয়েছিল? এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে কেকে’র গাড়ির চালক জানিয়েছেন, নজরুল মঞ্চ থেকে ফেরার সময়ই তিনি অসুস্থ বোধ করছিলেন। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তখনই কেন নজরুল মঞ্চ থেকে সরাসরি কাছাকাছি কোনও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি কে কে’কে? কেন ওবেরয় গ্র্যান্ডে আনা হয়েছিল তাঁকে? নজরুল মঞ্চের কাছেই ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতাল। নজরুল মঞ্চ থেকে তার দূরত্ব কতটা? সেখানে পৌঁছতে কতটুকু সময় লাগে? তা দেখেছি আমরা।