কলকাতা: কাল বিকেলে ঠাকুরনগরে (Thakurnagar) যাচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Governor Jagdeep Dhankhar)। কাল বিকেল সাড়ে চারটেয় সময় মতুয়া (Matua) ধর্মমেলায় যোগ দিতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল।


মতুয়াদের আমন্ত্রণ রাজ্যপালকে


মতুয়াদের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয় রাজ্যপালকে। সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করতে কাল মতুয়া মেলায় যাচ্ছেন রাজ্যপাল, খবর ঠাকুরবাড়ি সূত্রে।


সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের তরফে রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কাল বিকেলে মতুয়া ধর্ম মহামেলায় যোগ দিতে যাবেন রাজ্যপাল। প্রশাসন সূত্রে খবর, মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মন্দির পরিদর্শনের পর শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যপাল। তাঁর ঠাকুরবাড়িতে আসাকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ ও সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর।


মতুয়া মেলায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ


কয়েকদিন আগেই হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি উপলক্ষে ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি হরিচাঁদ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এবার রাজ্যপাল যাচ্ছেন মতুয়া মেলায়।


একসঙ্গে মেলা আয়োজন


জোড়াফুল না পদ্ম? এই রাজনৈতিক মতবিরোধের জেরে ভাঙন ধরেছিল ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহলে। গত কয়েক বছর ধরে দুই শিবিরের তরফেই আয়োজন করা হচ্ছিল বারুণী মেলার। এবার সেই মেলা ঘিরে ঐক্যের সুর শোনা গেল ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ি থেকে। বিভেদ সরিয়ে এবার একসঙ্গে মেলার আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে মতুয়াবাড়ির দুই যুযুধান শিবির। 


শান্তনু ঠাকুর বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই পৃথকভাবে বারুণী মেলার আয়োজন করা হচ্ছিল। একপক্ষের উদ্যোক্তা ছিলেন শান্তনু ঠাকুর। অপরপক্ষের উদ্যোক্তা মমতাবালা ঠাকুর। কিন্তু এবার বিভেদ ভুলে একসঙ্গে মেলার আয়োজন করার বার্তা দিয়েছেন গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর এবং অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর। 


ঠাকুরবাড়ির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। দুই পরিবার একসঙ্গে বারুণী মেলা আয়োজন করার ডাক দেওয়ায় ঠাকুরবাড়িতে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত।


মতুয়াদের সবচেয়ে বড় বাৎসরিক উৎসব বারুণী মেলা। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে এই মেলা। বুধবার হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথিতে হয় ঠাকুরনগরের কামনা সাগরে পুণ্যস্নান। মেলা চলবে একসপ্তাহ।