কলকাতা: হাওড়া পুরসভা (Howrah Municipality) থেকে বালিকে (Bally) আলাদা করার বিলে সই নিয়ে এবার বিভ্রান্তি বাড়ালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় নিজেই। হাওড়া পুরসভা সংক্রান্ত বিলে সই করেছি, এই দাবি সঠিক নয়। ফের ট্যুইট রাজ্যপালের। বিষয়টি এখনও তাঁর বিবেচনাধীন বলে জানিয়েছেন জগদীপ ধনকড়।


হাওড়া পুরসভা থেকে বালিকে আলাদা করার বিলে কি সই করেছেন রাজ্যপাল? দাবি, পাল্টা দাবিতে বিভ্রান্তি চরমে। এর আগেও ট্যুইটে রাজ্যপালের দাবি, হাওড়া পুরসভা সংক্রান্ত বিল এখনও তাঁর বিবেচনাধীন রয়েছে। 



সম্প্রতি, হাওড়া পুরসভা থেকে বালির ১৬টি ওয়ার্ডকে আলাদা করে নতুন পুরসভা করা হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় একটি সংশোধনী বিল পাস হয়েছে। এই টানাপড়েনের মধ্যেই রাজ্য সরকারের আর্জি মেনে ১৯ ডিসেম্বর কলকাতার সঙ্গে হাওড়া পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তা নিয়ে আপত্তি জানায় বিরোধীরা। 


বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে পুরভোট সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। সেখানে হাওড়া ও বালি পুরসভায় ভোট ঘিরে অনিশ্চয়তার বিষয়টি ওঠে। এরপর, শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য সরকারের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, রাজ্যপাল হাওড়া কর্পোরেশন সংশোধনী বিল ২০২১-এ সম্মতি দিয়েছেন। যদিও, সন্ধেয় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠকের পর ট্যুইটে রাজ্যপাল বলেন, হাওড়া পুরসভা সংক্রান্ত বিল এখনও তাঁর বিবেচনাধীন রয়েছে।


এর আগে, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সাক্ষাতের ভিডিও ট্যুইট করেন রাজ্যপাল, হাওড়া-বালি পুরসভা বিল নিয়ে রাজ্যপালের সুরই শোনা যায় বিরোধী দলনেতার গলাতেও। বিরোধী দলনেতা বলেছেন, 'রাজ্যপাল বলেছেন, আমি কোনও বিল ক্লিয়ার করিনি।'


কলকাতা হাইকোর্টে দেওয়া প্রস্তাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২২ জানুয়ারি হাওড়া ও ২৭ ফেব্রুয়ারি তারা বালির পুরভোট করতে চায়। কিন্তু, বিল পাস নিয়ে জটিলতা এখনও কাটার কোনও লক্ষণ নেই। এদিকে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, কলকাতা পুরভোটের সমস্ত বুথের সিসিটিভি কামেরার ফুটেজ, প্রিসাইডিং অফিসারের ডায়েরি, ভোটাদাতাদের নামের রেজিস্ট্রার ও EVM কন্ট্রোল ইউনিট সংরক্ষণ করতে হবে।সংর ক্ষণ করতে হবে, বাকি পুরভোটের সিসিটিভি ফুটেজও।