রুমা পাল, শান্তনু নস্কর, বাসন্তী: বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বাসন্তীর ৫ জনের। এর মধ্যে রয়েছেন একই পরিবারের ৩ ভাই। মঙ্গলবার তাঁদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যপাল। ঘোষণা করলেন আর্থিক সাহায্যের।  


বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় স্বজন হারাদের পাশে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বাসন্তীর ছড়ানেখালিতে শোকার্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াল রাজভবন। করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা একসঙ্গে প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ৩ ভাইয়ের। মৃত্যু হয়েছে নিশিকান্ত গায়েন, হারান গায়েন ও দিবাকর গায়েনের। 


দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা সঞ্জয় হালদারেরও জীবনও। মঙ্গলবার, মৃতদের বাড়িতে গিয়ে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেন রাজ্যপাল। রাজভবন সূত্রে খবর, মৃত ৪ জনের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। জনধন অ্যাকাউন্ট থাকলে দেওয়া হবে এককালীন ১০ হাজার টাকা ৬ মাস ২ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হবে ২ টি পরিবারকে ৪ জনেরই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের খরচ বহন করবে রাজভবন


এদিন, মৃতদের পরিবারের হাতে ফল ও খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক পরিস্থিতি। এটা হিউম্যান মিজারি। এই পরিস্থিতিতে, সকলের পাশে সকলের থাকা উচিত। এটাই আমাদেরকে এখানে নিয়ে এসেছে। আমরা নিহতদের পরিবারের সঙ্গে যন্ত্রণা ভাগ করে নিলাম। যারা প্রাণ হারিয়েছেন, বেশ কিছু সাহায্য ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে। আরও যা লাগবে প্রয়োজনে তা আমরা দেব। আমরা তাঁদের পাশে আছি, তাঁদের জন্য একসঙ্গে কাজ করব


অন্ধ্রপ্রদেশে চাষের কাজ করতে গিয়েছিলেন বাসন্তীর ছড়ানেখালির গায়েন পরিবারের ৩ ভাই। ছিলেন করমণ্ডল এক্সপ্রেসে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ওড়িশায় ছুটে যায় পরিবার। বালেশ্বরের হাসপাতালে গিয়ে ৩ জনের দেহ শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা। 


রাজ্যপালকে সামনে পেয়ে নিজেদের অভাব অভিযোগ তুলে ধরেন স্থানীয়রা। গ্রামে জল, বিদ্যুৎ না থাকার অভিযোগও জানান তাঁরা। বাসন্তীর বিডিও সৌগতকুমার সাহাকে পানীয় জলের কলের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন রাজ্যপাল। 


রাজ্যপাল  সিভি আনন্দ বোসের কথায়, আমরা জানি এখানে গ্রামে অনেক সমস্যা আছে। আমরা সকলে মিলে চেষ্টা করব এখানকার গরিব মানুষদের কীভাবে সাহায্য করা যায়।২ দিন আগেই কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। এবার বাসন্তীর গ্রামে নিহতদের পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন সিভি আনন্দ বোস।