সন্দীপ সরকার, কলকাতা: সব্জির আগুন দামের মধ্যেই হঠাৎ ভাঙড়ের সবজির হাটে রাজ্যপাল (C V Anand Bose)। ক্যানিং থেকে ফেরার পথে হঠাৎ ভাঙড়ের সব্জি হাটে রাজ্যপাল। বাসন্তী হাইওয়ে দিয়ে ফেরার সময় রাজ্যপালের গাড়ি থামল সব্জির হাটে। সব্জির দাম নিয়ে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বললেন, দিলেন ফোন নম্বর। ভাঙড় থেকে রাজভবন ফেরার পথে হঠাৎ টেরিটি বাজারেও গেলেন রাজ্যপাল।
ভাঙড়ের সবজির হাটে রাজ্যপাল: বর্ষা আসতে না আসতেই খুচরো বাজারে অগ্নিমূল্য শাক-সবজি। বাজারে গিয়ে পকেট খালি হয়ে গেলেও ভরছে না ব্যাগ। কারণ যা দাম, তাতে হাতে ছেঁকা খাওয়ার জোগাড়।কাঁচা লঙ্কা থেকে শুরু আদা, বরবটি থেকে পটল-বেগুন-ঝিঙে, দামের জেরে জেরবার আম-বাঙালি। শহর থেকে জেলায়, একই ছবি সব জায়গায়। এদিন ভাঙড়ের হাটে হাজির হন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। ক্যানিং থেকে ফেরার সময় ভাঙড়ের হাটে রাজ্যপাল। কথা বললেন বিক্রেতাদের সঙ্গে। দিলেন ফোন নম্বর।
সোমবার মানিকতলা বাজারে কাঁচালঙ্কা বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকা প্রতি কেজি। আদার দামও কেজিতে ৩০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।এছাড়াও টম্যাটো ২০০ টাকা।বেগুন ১৬০, উচ্ছে ১২০, পটল, ঝিঙে, বরবটি ১০০ টাকা কেজিতে বিকোচ্ছে। এক কেজি শশা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়শের দাম ৫০ টাকা।বেড়েছে আলুর দামও। জ্যোতি আলু ২২-২৪ টাকা এবং চন্দ্রমুখী আলুর দাম ২৬-২৮ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। মূল্যবৃদ্ধির জেরে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় ক্রেতাদের।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার অবশেষে সক্রিয় হয়েছে রাজ্য সরকারের তৈরি করে দেওয়া টাস্ক ফোর্সের। সল্টলেকের বিভিন্ন বাজার ছাড়াও ব্য়ারাকপুর, বারুইপুর ও হাওড়াতেও চলে নজরদারি। বাজারের কী পরিস্থিতি, কোনও ব্যবসায়ী বেশি দাম নিচ্ছেন কি না, জোগান ঠিক আছে কি না, খতিয়ে দেখা হয়। মঙ্গলবার শিয়ালদার কোলে মার্কেটে যাবে টাস্ক ফোর্স। সব দিক খতিয়ে দেখে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে তারা। অন্যদিকে, এদিন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ভবানীপুরে যদুবাজারের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেস। টাস্ক ফোর্স সূত্রে খবর, প্রবল গরমে এবার গোটা দেশেই প্রচুর সবজি নষ্ট হয়েছে। বাজারে তার প্রভাব পড়েছে। সেই কারণেই দাম বেড়েছে সমস্ত সবজির।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial
আরও পড়ুন: Scrub Typhus : মাকড়ের কামড় ! সময় থাকতে চিকিৎসা না হলেই প্রাণঘাতী হতে পারে স্ক্রাব টাইফাস