জলপাইগুড়ি: দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে জোরকদমে চলছে ভোট-প্রচার। সোমবার বিজেপি প্রার্থীদের প্রচারে ধূপগুড়িতে সভা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল সরকারকে নিশানা করার পাশাপাশি লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়েও বড়সড় আশ্বাস দিলেন শুভেন্দু।
বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার আশ্বাস, 'মোদিজি এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ২০০০টাকা দেওয়া হবে। ক্যাবিনেটের প্রথম মিটিং-এ প্রস্তাব পাস হবে।' আগামী লোকসভা ভোটে বিপুল ভোটে বিজেপি জিতবে বলেও দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, '২০২৪-এ মোদিজি ৪০০-এর বেশি ভোটে জিতবে। মোদিজি এলে পিসি-ভাইপোর সরকার চিৎপটাং।'
শুভেন্দুর দাবি, 'জলপাইগুড়ি জেলার মানুষ নরেন্দ্র মোদি আর বিজেপি ছাড়া কাউকে চেনে না। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে বহু মানুষের সেন্টিমেন্ট জড়িয়ে আছে।' ভোট-সন্ত্রাস নিয়েও তোপ দাগেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার দাবি, 'কালিয়াগঞ্জে বিজেপি কর্মীকে খুন করেছে তৃণমূলের পুলিশ। বিজেপি তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া কোনও রাজ্যে নির্বাচনের পরে সন্ত্রাস হয়নি। পিছিয়ে থাকা মানুষদের খুন করেছে তৃণমূলকর্মীরা। পশ্চিমবঙ্গে রাম নাম বললে তাদের আক্রমণ করা হচ্ছে।' মমতাকে নিশানা করে শুভেন্দুর তোপ, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় ভাগাভাগির রাজনীতি করেন।'
ভুয়ো ব্যালট নিয়ে গতকালই সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সোমবার ধূপগুড়ির সভা থেকে শুভেন্দুও একই সুরে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'ডুপ্লিকেট ব্যালট ছাপা হচ্ছে, স্ট্রং রুমে যাওয়ার সময় পাহারা দিতে হবে। স্ট্রং রুমের সামনে রাতে পাহারা দিতে হবে।' তৃণমূল বরাবর কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছে। তারই পাল্টা তোপ দাগেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, 'একশো দিনের টাকা নয় আমরা চুরি আটকেছি। বিজেপি জিতলে মানুষের পঞ্চায়েত হবে।'
গোড়া থেকেই দুর্নীতি ইস্যুকে সামনে রেখেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। কখনও চাকরিতে দুর্নীতি, কখনও একশো দিনের প্রকল্পের কাজে দুর্নীতি, কখনও আবার আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করেছে বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোটের আবহে দুর্নীতিকেই প্রচারের হাতিয়ার করেছে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারী থেকে সুকান্ত মজুমদার - সকলেই বারবার একাধিক দুর্নীতি ইস্যুতেই আক্রমণ শানাচ্ছেন। এরই মধ্যে তৃণমূলের তরফে প্রচার চালানো হচ্ছে যে বিজেপিই টাকা আটকে দেওয়ায় এখানে সরকারি প্রকল্প কার্যকর করা যাচ্ছে না। তারও বিরোধিকা করতে গিয়ে বারবার দুর্নীতি প্রসঙ্গই টেনে আনছেন বিজেপি নেতারা, চুরি হওয়াতেই বকেয়া নিয়ে সমস্যা হয়েছে বলে তাঁদের দাবি।
আরও পড়ুন: 'দেউচা পাঁচামিতে ১ লক্ষ মানুষের কাজ', অনুব্রত-গড়ে ভোট-আশ্বাস মমতার