রুমা পাল ও সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : ১৫ বছরের পুরনো ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক গাড়ি ৬ মাসের মধ্যে বাতিলের নির্দেশ ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের (National Green Tribunal)। প্রসঙ্গত, কলকাতা, হাওড়া সহ গোটা রাজ্যের ক্ষেত্রে নির্দেশ দিয়েছে গ্রিন ট্রাইবুনালের। পাশাপাশি দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য বিএস-৪-এর গাড়ি বাতিলের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশ বিএস-৪-এর বদলে এবার কলকাতা ও হাওড়ায় চলবে বিএস-৬ গাড়ি। পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে অ্যাকশন প্ল্যান তৈরির নির্দেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে, মাইক বাজানোর ক্ষেত্রে ‘শব্দ দূষণ রুখতে বসানো হোক সাউন্ড লিমিটার’, নির্দেশ গ্রিন ট্রাইবুনালের।


উল্লেখ্য, এর আগেও পুরনো বাণিজ্যিক গাড়ি বন্ধের ক্ষেত্রে নির্দেশ ছিল গ্রিন ট্রাইবুনালের। যদিও সেই নির্দেশ কার্যকর করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের ভূমিকা যথেষ্ট সদর্থক নয় বলেই পর্যবেক্ষণ ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের। সেই নির্দেশের উল্লেখ করে আগামী ছয় মাসের মধ্যে কলকাতা, হাওড়া সহ গোটা রাজ্যের ১৫ বছরের পুরনো সমস্ত গাড়ি তথা বিএস-৪ ইঞ্জিনের সমস্ত গাড়ি বাতিনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


পাশাপাশি বর্জ্য এক জায়গায় জমা করা ও সেগুলোকে নষ্ট করার ক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভা তাদের যে পরিকল্পনা জানিয়েছে, তাতেও সন্তুষ্ট নয় ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল। ধাপার মাঠে বর্জ্য ফেলার ও নষ্ট করার ক্ষেত্রে আরও সুষ্পষ্ট অ্যাকশান প্ল্যান দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুরসভাকে। এদিকে শব্দদূষণ রুখতে মাইক বাজানোর ক্ষেত্রে 'সাউন্ড লিমিটার' বসানোর প্রস্তাব দিয়েছে গ্রিন ট্রাইবুনাল। যেক্ষেত্রে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে অ্যাকশন প্ল্যান তৈরির নির্দেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে।


গ্রিন ট্রাইবুনালের যে নির্দেশ সম্পর্কে পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলেছেন, '২০০৮ সালে আমার করা এক মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছিল। মাঝে ১৪ বছর কেটে গিয়েছে। এবারে গ্রিন ট্রাইবুনালের রায়ে দুটো বিষয় হয়েছে। একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আর হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল শুধু বাণিজ্যিক গাড়ির ক্ষেত্রে, এবারে অবশ্য বাণিজ্যিকের সঙ্গে ১৫ বছরের পুরনো ব্যক্তিগত গাড়ি বাতিলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডিজেলের গাড়ি বদলে যত বেশি সম্ভব সিএনজি বা বিদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহার বাড়াতে হবে। এই রায় নিশ্চয়ই যুগান্তকারী এক রায়। তবে এখান থেকে পথচলা শুরু আমাদের। তবে শুধু কলকাতা ও হাওড়ার জন্যই নয় কিন্তু গোটা রাজ্যের জন্য নিয়মটা প্রযোজ্য। তবে রাজ্যে এক কোটির বেশি এমন গাড়ি রয়েছে, তাই নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আদৌ সব গাড়ি চলাচল বন্ধ করা যাবে কি না, সে নিয়ে দ্বিধা ও চিন্তা রয়েছে। তাই বাড়তি উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন।'



আরও পড়ুন- গুগল পে বদলে আসছে গুগল ওয়ালেট, কী থাকবে নতুন সুবিধা ?