কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা: তিন তৃণমূল (TMC)নেতার নৃশংস হত্যায় (MURDER) শোকপ্রকাশ করে ফেসবুক পোস্ট (FACEBOOK POST) দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (ABHISEKH BANERJEE)। পোস্টটিতে স্বপন মাঝি, ঝণ্টু হালদার ও ভূতনাথ প্রামাণিককে দলের একনিষ্ঠ সৈনিক (DEDICATED SOLDIER) বলে অভিহিত করেন অভিষেক। 


অভিষেকের বার্তা


  দলের শীর্ষস্তর থেকে শোকবার্তা আসায় ক্যানিংয়ের তিন তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনা অন্য মাত্রা পেল, মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লা গোটা ঘটনায় আগেই বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন। পরে সেই সুর আরও চড়িয়েছে তৃণমূল। দলীয় মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্যের অভিযোগ, বিজেপির থেকে তাঁদের যে প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে সে কথা গত কালই দলীয় বিধায়ককে বলেছিলেন ওই তিন জন। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই সব শেষ। তাঁর কথায়, প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই জানিয়েছেন, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা আগে এসইউসিআইয়ের গুন্ডা ছিল। পালাবদলের পর তারা বিজেপিতে। সব অভিযোগ উড়িয়ে দেয় রাজ্য পদ্মশিবির। তাদের পাল্টা দাবি, টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে অশান্তির জেরেই এই খুন। বিজেপি কোনও ভাবেই জড়িত নয়।


কী হয়েছিল?
   এমনিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। সেখানেই দলের তিন নেতাকে ভয়ঙ্কর ভাবে খুন!  তাও আবার ক্যানিংয়ের এক জনবহুল এলাকায়। এদিন সকাল ৯টা নাগাদ পিয়ারের পার্ক এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রে খবর, একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য স্বপন মাঝি। সঙ্গে ছিলেন আরও ২ জন। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা প্রথমে স্বপন মাঝিকে গুলি করে, কুপিয়ে খুন করে। পালানোর সময় তাঁর দুই সঙ্গীকেও গুলি করে ও কুপিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় অভিষেকের ফেসবুক পোস্ট বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দলীয় নেতাদের হত্য়া যে সহজে মেনে নেওয়া হবে না সেই ইঙ্গিতই দিতে চেয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্ব, ধারণা একাংশের। 
 তবে প্রশ্নও উঠছে। আর কত রক্ত বয়ে যাওয়ার পর থামবে রাজনৈতিক হত্যার পর্ব?
উত্তর খুঁজছে বাংলা। 


আরও পড়ুন:পঞ্চায়েত ভোটে রক্তের বদলে ঝরবে রক্ত, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি বিজেপি নেতার