নয়াদিল্লি: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC)বরাবর এলাকায় যে সমস্যাগুলি (pending issue) এখনও রয়ে গিয়েছে, চিনের (china) কাছে তা দ্রুত সমাধানের (solution) কথা বলল ভারত (india)। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের দাবি, এলএসি-তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফেরাতে যাতে দ্রুত সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শেষ করা হয়, সে মর্মে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-কে (wang yi) আর্জি জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (jaishankar)।  বালিতে জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের শীর্ষবৈঠকের পাশাপাশি প্রায় ঘণ্টাখানেক এ নিয়ে কথা বলেন জয়শঙ্কর-ই। এবার পরের দফার সামরিক কথোপকথনের অপেক্ষা।


কী স্থির আলোচনায়?


         জট কাটাতে এর আগেও কয়েক দফা আলোচনা করেছেন দু'দেশ। কিন্তু সেভাবে লাভের লাভ হয়নি। শুধু যে এলাকাগুলি ঘিরে বিতর্ক, তার একেবারে সামনের অংশ থেকে সেনা সরাতে পেরেছে দুই দেশ। সবটা মাথায় রাখলে আজকের বৈঠকে আচমকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বরফ গলে যাবে, এমন আশা কম। তবে সেই লক্ষ্যে অন্তত কিছুটা এগোনো গেলেও অনেকটাই আশার ব্যাপার। 
     এদিন বিদেশমন্ত্রী টুইটারে লেখেন, ' দিনের শুরুতেই বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে বৈঠক। ঘণ্টাখানেক আলোচনা চলে। সীমান্ত এলাকায় যে সমস্যাগুলির সমাধান এখনও বাকি, তা নিয়েই বিশেষভাবে আলোচনা হয়েছে। তবে বাকি বিষয় যেমন পড়ুয়া ও বিমান যোগাযোগ নিয়েও কথাবার্তা হয়েছে।' পরে বিদেশমন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানায়, পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বকেয়া সমস্যার সমাধান চেয়েছেন এস জয়শঙ্কর। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের মতে, দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও প্রোটোকলে যা স্থির হয়েছিল তা যে পুরোপুরি মানতে হবে সে কথা আরও এক বার আলোচিত হয়েছে। সেই মর্মেই জয়শঙ্কর ও লি-র বক্তব্য, সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে যোগাযোগ রেখে যেতে হবে। স্থির হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব বৈঠকে বসতে হবে  সিনিয়র কমান্ডারদের।


ফিরে দেখা


  ২০২০ সালের জুনে গলওয়ান সংঘর্ষের পর ভারত-চিন সম্পর্ক একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল।  দফায় দফায় আলোচনার পর কিছু জায়গা থেকে সেনা সরলেও স্থিতাবস্থা ফেরাতে বহু পথ চলা বাকি, জল্পনা নয়াদিল্লির অন্দরে। তার মধ্যে প্রায়ই খবর আসে, সীমান্ত বরাবর নতুন সেনা পরিকাঠামো বাড়াচ্ছে চিন। এহেন অবস্থায় বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক নতুন কোনও আশার আলো দেখাবে কি?


আরও পড়ুন:প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে মুম্বই, একাধিক এলাকায় জারি লাল সতর্কতা