রাজস্থানের কুচমান এলাকার এক ব্যবসায়ীকে খুনে মূল অভিযুক্ত ৪ দুষ্কৃতীকে নাটকীয় কায়দায় ধর কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখা। গুণ্ডা ধাওয়া করার দৃশ্য সিনেমাকেও হার মানায়। এমন ভয়ঙ্কর , গা শিউরে ওঠা অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকল সল্টলেকের পাড়া, অলিগলি ! আতঙ্কে ঘুম উড়ল গৃহস্থের। কারণ এখনও পলাতক ১ দুষ্কৃতী। সে-ও কি তবে লুকিয়ে এলাকার কোনও কানাগলিতেই ?
সকলেই সল্টলেকের পূর্বাচল আবাসনের আশেপাশে গা ঢাকা দিয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। প্রথমে ২জনকে গ্রেফতার করা হয়, পালিয়ে যায় বাকি ২ জন। সিনেমার দৃশ্যের মতোই ধাওয়া করে পুলিশ। এক দুষ্কৃতী পূর্বাচল আবাসনে ঢুকে ছাদে উঠে পড়ে। তা দেখতেও পান গৃহস্থরা। কার্নিশ বেয়ে নামার সময়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এমন ভয়ঙ্কর দৃশ্য চোখের সামনে ঘটবে ভাবলে এখনও গা-শিউরে উঠছে বাসিন্দাদের। পুলিশ সূত্রের খবর, রাজস্থানে ব্যবসায়ী খুন করে পালিয়ে এসেছে তারা। আদতে গুজরাতের গুন্ডাদল কলকাতায় এসে গা ঢাকা দেওয়ার পরিকল্পনা করে। হয়ত এখান থেকেই অন্যদেশে বা রাজ্য পালিয়ে যাওয়ার ছকও ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার ৪ দুষ্কৃতীর মধ্যে ৩ জনকে ধরে ফেলেছে কলকাতা পুলিশ। ৩ জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও পলাতক ১ দুষ্কৃতী।
পুলিশ সূত্রে খবর, পলাতক ১ সল্টলেকের দিকেই পালিয়ে গিয়েছে। অতএব মনে করা হচ্ছে সল্টলেকের পূর্বাচল আশেপাশেই রয়েছে সে। আর এই বিষয়টাই এখন এলাকার মানুষের আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে। তার খোঁজে জোর তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। কার সাহায্যে, কীভাবে দুষ্কৃতীরা কলকাতায় এসেছিল? কারা তাদের লুকিয়ে থাকতে সাহায্য করেছিল? কতদিন ৪ দুষ্কৃতী কলকাতায় গা ঢাকা দিয়েছিল? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
চলতি বছরের জুলাই মাসে পাটনার হাসপাতালের কেবিনে ঢুকে কয়েদিকে গুলি করে খুন করে কলকাতায় ঢাকা দেয় দুষ্কৃতীরা। গ্যাংস্টার খুনের তদন্তে নেমে পশ্চিমবঙ্গে আসে বিহার পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। এদিন নিউটাউনের আবাসনে পাটনা পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালায় রাজ্য পুলিশের STF। নিউটাউনে সাপুরজির সুখবৃষ্টি আবাসনের M-73 ব্লকের ৫ তলায় ৪০৬ নম্বর ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে ২ জনকে পাকড়াও করে পুলিশ। পাটনায় খুন করে, পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। আবার ২০২১ সালের ৯ জুন নিউটাউনের সাপুরজির সুখবৃষ্টি আবাসনেই পাঞ্জাবের কুখ্যাত গ্যাংস্টার জয়পাল ভুল্লার লুকিয়ে আছে খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। শ্যুটআউটে মৃত্যু হয় পাঞ্জাবের কুখ্যাত গ্যাংস্টার জয়পাল ভুল্লার এবং যশপ্রীত সিং খাড়ারের।