কলকাতা: আজ মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে চাকরিপ্রার্থীদের বসতে নিষেধ করল পুলিশ (Kolkata Police)। আন্দোলনকারীদের মেল করে অবস্থানে না বসার কথা জানায় ময়দান থানা। শহিদ মিনার চত্বরে আজ গুরু নানকের জন্মদিন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠান রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উল্লেখ করে এই নিষেধাজ্ঞা, বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে। কী করব আজ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে এমনই প্রতিক্রিয়া আন্দোলনকারীদের।
একসঙ্গে পথে: যোগ্যদের দ্রুত নিয়োগের দাবিতে একসঙ্গে পথে নেমেছেন এসএসসি, টেট, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি-র কর্মপ্রার্থীরা। শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের ব্যানারে গত ৫ নভেম্বর তাঁরা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা অবধি মিছিল করেন। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। কিন্তু, পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি।
হকের চাকরিটা চাই! দাবি এক। স্লোগান এক। শুধু মঞ্চ ছিল আলাদা। এবার নিয়োগের দাবিতে এক মঞ্চের ব্যানারে পথে নামলেন আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা। শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চ - এই ব্যানারে চাকরিপ্রার্থীরা মিছিল করলেন শহরে নবম থেকে দ্বাদশ, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি এবং টেটের চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ পা মেলান মিছিলে।
ঐক্যমঞ্চের পরিকল্পনা ছিল শনিবার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে বেলা ১২টায় মিছিল করে তাঁরা ধর্মতলা অবধি যাবেন। তারপর নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পেশ করা হবে স্মারকলিপি। কিন্তু, কর্মসূচির শুরুতে সে কথা জানতে পেরে পুলিশ মিছিল আটকে দেয়! সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে ছয়লাপ হয়ে যায় পুলিশ! ঐক্যমঞ্চের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয় পুলিশ অফিসারদের।
শেষ পর্যন্ত ঠিক হয়, মিছিল যাবে ওয়াই চ্যানেল অবধি, তারপর ঐক্যমঞ্চের প্রতিনিধি দল পুলিশের ডেপুটি কমিশনারের অফিসে গিয়ে দেবেন ডেপুটেশন। ঠিক বেলা ১টা নাগাদ শুরু হয় মিছিল বেলা ৩টের সময় ধর্মতলায় পৌঁছয় মিছিল। আন্দোলনকারীরা যাতে হঠাৎ রাস্তায় না বসে পড়েন, সে জন্য ধর্মতলা চত্বরেও প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়...
শেষে ঐক্যমঞ্চের নেতারা কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার সেন্ট্রাল রূপেশ কুমারের অফিসে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁদের স্মারকলিপি মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। একদিকে, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে একের পর এক হেভিওয়েট গ্রেফতার হয়েছেন, আরেক দিকে, চলছে লাগাতার আন্দোলন। কিন্তু, হকের দাবি পূরণ হবে কবে? সেই প্রশ্নেরই জবাব খুঁজছেন লক্ষ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী।