বিটন চক্রবর্তী, হলদিয়া (পূর্ব মেদিনীপুর): শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে টেন্ডার দুর্নীতি নিয়ে থানায় অভিযোগের পর এবার তাঁর অফিসও সিল করল হলদিয়া থানার পুলিশ।


কয়েকদিন আগেই হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও বিজেপি নেতা শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে টেন্ডার দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়। আর এবার তাঁর ব্যবহৃত অফিস বন্ধ করে দিল হলদিয়া থানার পুলিশ। হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন আইএনটিটিইউসি-র অফিস ‘বন্দর শ্রমিক ভবন’-এ বসে বন্দর সংক্রান্ত কাজকর্ম করতেন শ্যামল আদক।


পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি  হলদিয়া, ভবানীপুর থানা সহ একাধিক থানায় শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়।সেই অভিযোগের তদন্তের জন্য আইএনটিটিইউসি বন্দর শ্রমিক ভবনটি সিল করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। তমলুক সাংগঠনিক জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি তাপস মাইতির বক্তব্য, দুর্নীতির দায়ে শ্যামল আদক এখন ফেরার। বন্দরের শ্রমিক ভবনে অবাঞ্ছিত লোকজনদের আনাগোনা বন্ধ করার জন্য পুলিশকে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।পুলিশ পুলিশের কাজ করেছে।


আর এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির অভিযোগ, আইন আইনের পথে চলবে এই নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না। বিজেপির কটাক্ষ,  তৃনমূলে থাকাকালীন শ্যামল আদকের তো কোনো দুর্নীতি ধরা পড়েনি। তিনি বিজেপিতে যোগ দিতেই দুর্নীতি ধরা পড়ছে। আসলে তা নয়, বিজেপি করার জন্য জনমানসে তাঁর ভাবমূর্তি কালিমা লিপ্ত করার চেষ্টা করছে।


যদিও আর এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এই নিয়ে শ্যামল আদকের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বার বার ফোন করা হলেও, তার ফোন সুইচ অফ ছিল।


উল্লেখ্য, চেয়ারম্যান থাকাকালীন আত্মীয়ের সংস্থাকে টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছিলেন। এই অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও বিজেপি নেতা শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে।পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অতিরিক্ত সচিবের নির্দেশে, তাঁর নামে এফআইআর দায়ের করেছেন তৃণমূল পরিচালিত হলদিয়া পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার।এফআইআর-এ দাবি করা হয়েছে, চেয়ারম্যান থাকাকালীন শ্যামল আদক, কিছু সংস্থাকে টেন্ডার পাইয়ে দিতে অনিয়ম করেছিলেন। যে সংস্থার সঙ্গে তিনি অথবা তাঁর আত্মীয়রা জড়িত ছিলেন।


২০১৭-তে পুরভোটে জেতার পর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্যামল আদককে হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান করে তৃণমূল। গত ১৫ জানুয়ারি, চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। এরপর বিধানসভা নির্বাচনের আগে আগে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন শ্যামল।