বিটন চক্রবর্তী ও প্রকাশ সিন্হা, হলদিয়া: হলদিয়া (Haldia) বন্দরে লরি থেকে তোলাবাজির অভিযোগে মামলার তদন্ত শুরু করল সিবিআই (CBI)। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) হুঁশিয়ারির পর সিবিআই (CBI) তৎপরতায় তৃণমূলের অভিযোগ, সিবিআইকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভিত্তিহীন অভিযোগ, পাল্টা দাবি করেছে গেরুয়া শিবির। 


বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কথায়, এই এসপি তো যাবেই কারণ হলদিয়াতে শ্যামল আদকদের বিরুদ্ধে মামলা করতে গিয়েছিল। কোর্ট বলেছে হলদিয়া বন্দরের সব মামলা সিবিআই দেখবে। অমরনাথ আর জ্ঞানবন্ত এদেরকে ধরলেই বলে দেবে পিসি ভাইপোর কথায় এগুলো করেছে।


২৮ ফেব্রুয়ারি, প্রকাশ্যে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)! তার ঠিক ৪ দিনের মাথায় হলদিয়া বন্দরে লরি থেকে তোলাবাজির অভিযোগে মামলার তদন্ত শুরু করল সিবিআই। বন্দরে তোলাবাজির অভিযোগে গতবছর হলদিয়ার বাসিন্দা রাজীব পালকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


নাম জড়ায় শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ শ্যামল আদকেরও।  হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন রাজীব পাল।  ২১ ফেব্রুয়ারি, সিবিআইকে দুর্নীতি ও তোলাবাজির তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।


CBI-কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। অন্যদিকে অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে, দাবি গেরুয়া শিবিরের। সূত্রের খবর, হাইকোর্টের নির্দেশে শুক্রবার মামলা রুজু করে সিবিআই। 


তারপর, রাতে হলদিয়া থানার ওসিকে সিবিআই নোটিস দিয়ে জানায়, তোলাবাজি সংক্রান্ত মামলার যাবতীয় তথ্য, নথি, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের মতামত বা বাজেয়াপ্ত করা সামগ্রী-সহ যা কিছু পুলিশের কাছে জমা রয়েছে, তা অবিলম্বে জমা দিতে হবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। 


শুক্রবার রাতে, হলদিয়ার আইসির সঙ্গে প্রায় ২ ঘণ্টা কথা বলেন CBI আধিকারিকরা। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ফের হলদিয়া থানায় যান তাঁরা। কিছুক্ষণ থাকার পর চিরঞ্জীবপুরে হলদিয়া বন্দরে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন বা  INTTUC ভবনে যান তাঁরা।  যদিও অন্য একটি মামলায় আগেই পুলিশ এই ভবনটি সিল করে রাখলে বাইরে থেকেই ছবি তোলেন আধিকারিকরা। 


এদিন হলদিয়ার ভবানীপুরের ডিঘাসিপুরে, হলদিয়া বন্দরের পরিবহন ব্যবসায়ী শেখ মোবারুকের বাড়িতে যায় CBI টিম। যদিও, সেসময় বাড়িতে ছিলেন না শেখ মোবারুক। তাঁর বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন CBI আধিকারিকরা।