বিটন চক্রবর্তী, হলদিয়া (পূর্ব মেদিনীপুর) : আরও বেকায়দায় পড়লেন শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা শ্যামল আদক। হলদিয়ার প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে পলাতক ঘোষণা করল হলদিয়া মহকুমা আদালত। শ্যামল আদকের হলদিয়ার ফ্ল্যাটে গিয়ে নোটিস দিল পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এর আগে তাঁর অফিস সিল করে দিয়েছিল হলদিয়া থানার পুলিশ।


দুর্নীতি মামলায় চাপ আরও বাড়ল শ্যামল আদকের। শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী হিসেবে পরিচিত হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে এবার পলাতক ঘোষণা করল আদালত। শুক্রবার হলদিয়া মহকুমা আদালতের নোটিস শ্যামল আদকের ফ্ল্যাটের দরজায় সেঁটে দিয়ে আসে পুলিশ। ফ্ল্যাটে হলদিয়া থানার পুলিশ নোটিস দিয়ে যায়, তাঁর দুটি ফ্ল্যাট সিল করে দেওয়া হয়েছে।


বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগে হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন শ্যামল আদক। ভোটের পর তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে ওঠে। হলদিয়ার একাধিক থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। এর পর থেকেই হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের আর খোঁজ মিলছিল না। আদালতের নোটিসের প্রেক্ষিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ করেছে বিজেপি।


এপ্রসঙ্গে হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডল বলেন, ওঁকে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। ওঁর অফিস, বাড়ি, সম্পত্তি লুঠপাট হয়েছে। তার কোনও সুরাহা হয়নি। যেহেতু বিজেপি করেন তাই তাঁর উপর মিথ্যা কেস দিতে হবে।


যদিও তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, দুর্নীতিতে জড়িত বলে শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। এপ্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা ও জেলা সভাপতি তাপস মাইতি বলেন, আধিকারিকরা দেখেছেন দুর্নীতির নির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, তিনি সৎ হলে আত্মসমপর্ণ করে প্রমাণ করুক। তাঁর মধ্যে অপরাধবোধ আছে বলে পালাচ্ছেন।


ভোটের পরই বিরোধী দলনেতার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত রাখাল বেরা গ্রেফতার হন। পরে অবশ্য তিনি জামিন পান। এবার আরও এক শুভেন্দু-অনুগামী বেকায়দায় পড়লেন।