বিটন চক্রবর্তী, হলদিয়া: চালু হওয়ার ১০ বছরের মধ্যে বেহাল অবস্থা হলদিয়ার (Haldia) সতীশ সামন্ত ট্রেড সেন্টারের। শিল্প বিষয়ক আলোচনার জন্য তৈরি করা হলেও, কার্যত ধ্বসংস্তূপে পরিণত হয়েছে এটি। আর এই নিয়ে সাফাইয়ের সুর হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের। রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি (BJP)। 


তৈরিতে খরচ হয়েছিল ২৮ কোটি টাকা:  খুলে পড়ছে ফলস্ সিলিং। নষ্ট হয়ে গেছে বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম থেকে শুরু করে আসবাব। এ ছবি হলদিয়ার সতীশ সামন্ত ট্রেড সেন্টারের। ১০ বছর আগে হলদিয়ায় শিল্প বিষয়ক আলোচনা ও সম্মেলনের জন্য ২৮ কোটি টাকা খরচ করে এটিকে তৈরি করা হয়। 


কটাক্ষ বিজেপির: যেখানে রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পেক্ষাগৃহ, এক্সিবিশন ও মিটিং হল থেকে ফুড কোর্ট ও ক্লাব হাউস। কিন্তু, এত বড় সরকারি পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কার্যত ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছে এই ট্রেড সেন্টার। বিপুল খরচে শিল্পনগরীতে তৈরি ট্রেড সেন্টারের বেহাল দশা নিয়ে, রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি (bjp)।


বিজেপি বিধায়ক হলদিয়ার তাপসী মণ্ডলের কথায়, বর্তমানে হলদিয়ায় শিল্প আসা দূরের কথা বরং যে শিল্প আছে তাও ধীরে ধীরে বন্ধ হচ্ছে। শিল্প যেহেতু আসেনি তাই ট্রেড সেন্টারের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে গেছে এই সরকারের। আর তাই হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের নজরদারিও নেই। ট্রেড সেন্টারের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ। যদিও পর্ষদের সাফাই, ঝড়ের কারণে এই পরিস্থিতি। 


পশ্চিম মেদিনীপুরে কোন্দল: বিজেপির (BJP) নতুন মণ্ডল কমিটি নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) গড়বেতায় (Garbeta) তীব্র হল কোন্দল। ক্ষোভপ্রকাশ করে বিজেপি ছাড়লেন মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার ১৫ জন নেতা, কর্মী। বিক্ষুব্ধরা পার্টি অফিসে তালাও মেরে দেন বলে অভিযোগ। আর এই নিয়ে তীব্র হয়েছে চাপানউতোর।


কেন গেরুয়া-শিবির ত্যাগ ? পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের প্রকাশ্যে বিজেপি’র অন্তর্কলহ। মণ্ডল কমিটি নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে গড়বেতায় বিজেপিতে বিদ্রোহ। নতুন কমিটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপি ছাড়লেন ১৫ জন নেতা-কর্মী। বিজেপির গড়বেতা ১ নম্বর মণ্ডল অফিসে ঝুলিয়ে দেওয়া হল তালা।


আরও পড়ুন: BJP : নতুন মণ্ডল কমিটি নিয়ে ক্ষোভ, বিজেপি ছাড়লেন মেদিনীপুরেরর ১৫ জন নেতা-কর্মী