সৌমেন চক্রবর্তী, মেদিনীপুর : বিজেপির (BJP) নতুন মণ্ডল কমিটি নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) গড়বেতায় (Garbeta) তীব্র হল কোন্দল। ক্ষোভপ্রকাশ করে বিজেপি ছাড়লেন মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার ১৫ জন নেতা, কর্মী। বিক্ষুব্ধরা পার্টি অফিসে তালাও মেরে দেন বলে অভিযোগ। আর এই নিয়ে তীব্র হয়েছে চাপানউতোর।


কেন গেরুয়া-শিবির ত্যাগ ?


পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের প্রকাশ্যে বিজেপি’র অন্তর্কলহ। মণ্ডল কমিটি নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে গড়বেতায় বিজেপিতে বিদ্রোহ। নতুন কমিটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপি ছাড়লেন ১৫ জন নেতা-কর্মী। বিজেপির গড়বেতা ১ নম্বর মণ্ডল অফিসে ঝুলিয়ে দেওয়া হল তালা।


আরও পড়ুন ; বিধানসভায় সাসপেনশনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ফের আদালতে বিজেপির ৭ বিধায়ক


দিন কয়েক আগে, গড়বেতা পশ্চিম মণ্ডলের নতুন কমিটি গঠন করে বিজেপি। কিন্তু, তার প্রতিবাদে গণইস্তফা দেন বিজেপির একের পর এক নেতা-কর্মী। 


মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির পদত্যাগী সদস্য স্বদেশ রানা বলেন, এই জন্যই পদত্যাগ করছি। পার্টিটা আর করব না। বিজেপিটা বিজেপির মতো আর চলছে না। মণ্ডল কমিটি একদম ফালতু, যেগুলো ঘরে বসে আছে, তাদেরকে মণ্ডল কমিটিতে রাখা হয়েছে। তালা বিক্ষুব্ধরা মেরেছে ২-৩ দিন আগে। তখন থেকে পার্টি অফিস বন্ধ। চাবি আমাদের কাছে ছিল, সভাপতিকে দিয়ে দিয়েছি।


এপ্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক প্রদ্যোৎ ঘোষ বলেন, এই শুরু হয়েছে। বহু পার্টি অফিসে তালা কয়েকদিনের মধ্যেই পড়ে যাবে। কারণ মণ্ডল কমিটি নিয়ে বিজেপির মধ্যে এত অন্তর্দন্দ্ব শুরু হয়েছে। আগে নিজেদের ঘরটা সামলান, পরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়বেন।


যদিও গড়বেতা পশ্চিমের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সৌমেন সুকুল বলেন, আমাদের দল সর্বভারতীয়। ছোটখাট বিক্ষোভ দলের মধ্যে থাকে। তেমন কিছু ব্যাপার নয়। এটা দলীয় নেতৃত্ব ব্যাপারটা দেখছে। বসে ব্যাপারটা মিটে যাবে আমাদের মধ্যে।


নতুন কমিটি নিয়ে জেলায় জেলায় বিজেপিতে অসন্তোষ ছড়িয়েছে। এবার পঞ্চায়েত ভোটের এক বছর আগে, গড়বেতায় বিজেপি নেতা-কর্মীদের গণইস্তফা দলের অস্বস্তি বাড়াবে বলেই মনে করছেন অনেকে।