সনত্ ঝা, দার্জিলিং: পেশায় আইনজীবী (lawyer) প্রেমিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু। ঘর থেকে উদ্ধার হল তাঁর ঝুলন্ত দেহ। শিলিগুড়ির (Siliguri) এই ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল প্রেমিককে। তিনিও পেশায় আইনজীবী।
প্রেমিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, গ্রেফতার প্রেমিক
বহু বছর ধরে দু’জনের প্রেমের সম্পর্ক। দুজনেই পেশায় আইনজীবী। সম্প্রতি বিয়ের তারিখও ঠিক হয়ে গেছিল। কেনাকাটা থেকে বাড়ি বুকিং, সব প্রস্তুতিই প্রায় শেষের পথে। এরই মধ্যে, হবু কনের রহস্যমৃত্যু!
গত ৭ জুলাই, বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় শিলিগুড়ির বাসিন্দা, পেশায় আইনজীবী, মেধা সাহার দেহ! ঘটনার প্রায় ১০ দিনের মাথায়, রবিবার গ্রেফতার করা হল হবু স্বামী, দেবাঞ্জন চক্রবর্তী নামে এই যুবককে।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পাকা কথা হয়ে যাওয়ার পর, পণের জন্য চাপ দিতে থাকে এই যুবক। প্রথমে 2BHK ফ্ল্যাট ও ৫০০ স্কোয়ার ফুটের একটি চেম্বার করে দিতে বলেন। কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবার যখন জানায়, তা দেওয়া সম্ভব নয়, তখন শ্বশুরবাড়ির থেকে নগদ টাকা দাবি করেন এই যুবক। তরুণীর পরিবারের অভিযোগ তাঁরা ৫ লক্ষ টাকা দেন। তারপরও ২০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়।
তরুণীর মায়ের দাবি, এই টাকা না দিলে, হবু বর বিয়ে করবে না বলে জানায়। শুধু তাই নয়, টাকা না দেওয়ায়, তরুণীকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। মৃতার মা বলেন, 'আমার মেয়ের গায়ে কালশিটে থাকত। আমায় কিছু বলেনি। ওক বন্ধুদের বলেছে।' অভিযোগ, এই চাপ সহ্য করতে না পেরেই, আত্মঘাতী হন তরুণী।
প্রধাননগর থানায়, তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। তার ভিত্তিতে, রবিবার সকালে, এই আইনজীবীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্ত দেবাঞ্জন চক্রবর্তীর দাবি, 'সব অভিযোগ মিথ্যে। মেয়ের বাড়ির লোকই চাইত না আমার সঙ্গে বিয়ে হোক।'
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।