ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, হাঁসখালি, নদিয়া: হাঁসখালিকাণ্ডের তদন্তে তৎপর সিবিআই। বুধবার রাত থেকে তদন্ত শুরু কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। গতকাল গভীর রাতে থানায় গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছে সিবিআইয়ের (CBI) ৩ সদস্যের টিম।
কারা ছিল ওই টিমে:
গতকাল গভীর রাতে সিবিআইয়ের (CBI) যে দল থানায় গিয়েছে, তাতে দুই মহিলা অফিসার ছিলেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, পুলিশের কাছ থেকে কেস ডায়েরি সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও তদন্ত সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করেছেন সিবিআইয়ের অফিসাররা।
আর কী কাজ:
বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার কথা হয়েছে সিবিআই দলের। একইসঙ্গে আজই মৃত নাবালিকার (Victim) পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেইসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে যে সিবিআই এই মামলার তদন্ত করছে, তা স্থানীয় আদালতে জানাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। হাঁসখালিতে নাবালিকাকে গণধর্ষণ ও খুনের (Murder) মামলায়, তৃণমূল নেতার ছেলেকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশি তদন্তে খামতির কথা তুলে ধরেই হাঁসখালিতেও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সংযুক্ত করেছে আদালত। এর পাশাপাশি মৃতার পরিবার এবং স্থানীয়দের আস্থা ফেরাতেই সিবিআই-কে দিয়ে তদন্ত করানো উচিত বলে জানিয়েছে আদালত। হাঁসখালিতে নাবালিকাকে গণধর্ষণ এবং খুনের মামলায়, তৃণমূল নেতার ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মৃতার পরিবারকে হুমকির অভিযোগ, ডেথ সার্টিফিকেট (Certificate) ছাড়া শেষকৃত্য ঘিরে, প্রশ্নের মুখে পড়েছে প্রশাসনের ভূমিকাও। এই প্রেক্ষাপটে হাঁসখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দু’টো জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। তার শুনানিতে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ এই তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়।
বিস্ফোরক অভিযোগ:
কীভাবে ডেথ সার্টফিকেট (Death Certificate) ছাড়াই হাঁসখালিকাণ্ডে মৃতার শেষকৃত্য করা হয়েছিল? সেই প্রশ্নের উত্তরই খোঁজা চলছে। এর মধ্যেই বুধবার হাঁসখালিকাণ্ডে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেন, ‘অভিযুক্তরাই মৃতদেহ তুলে শ্মশানে নিয়ে চলে গিয়েছিল’। অভিযোগের সুরে বলেন, "মেয়ে মারা যাওয়ার পর আধ ঘণ্টা টাইম দেয়নি, নিয়ে গেছে। বাড়িতেই ছিলাম। সব মেশিন নিয়ে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বুকে ঠেকিয়ে দিচ্ছে, গুলি করে মেরে দেব তোকে। চিনি একজনকে। তিনি ব্রজ গয়ালি।" হাসপাতালে বা ডাক্তারের কাছে গেলেও পুড়িয়ে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার বাবা বলেন, "হুমকি দিয়ে যায় যে, যদি কোনও ডাক্তারের কাছে যাস, কী হাসপাতালে যাস, তোকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে মেরে দেব।" নাবালিকার মৃত্যুর ৫ দিন পর পুলিশকে কেন খবর দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister)।