কলকাতা : হাঁসখালিকাণ্ড নিয়ে সৌগত রায়ের (Sougata Roy) মন্তব্যের পর শুরু রাজনৈতিক তরজা। দলের মধ্যে শতাব্দী রায় ভিন্ন সুরে কথা বলেছেন। এদিকে তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। অন্যদিকে কটাক্ষ করেছেন সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।


হাঁসখালিকাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড়ের আবহে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেছেন, "যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা, সেখানে একটা ঘটনা ঘটলেও তা লজ্জার। মহিলাদের উপর অত্যাচার কোনও ভাবেই বরদাস্ত নয়। এই ধরনের ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। সকলেই নারী সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত ।"


আরও পড়ুন ; "মহিলা মুখ্যমন্ত্রী কি চেয়েছেন এটা ?", হাঁসখালিকাণ্ড নিয়ে সৌগতর মন্তব্যের ভিন্ন সুর শতাব্দীর


তাঁর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "এটা কতটা মানুষ গ্রহণ করবে জানা নেই। কারণ, ভোট পরবর্তী হিংসায় আমাদের ৫৬ জন কর্মী খুন হয়েছেন। ৪ জন মহিলা ও ২ জন সংখ্যালঘু খুন হয়েছেন। তৃণমূল বা সরকারের তরফ থেকে কেউ চোখের জল ফেলেনি, কেউ দেখতে যায়নি। মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে চাকরির ব্যবস্থা করেনি। সরকারের পক্ষ থেকে অনুদান দেয়নি। এখন এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যখন সারা রাজ্যের মানুষ প্রশাসনের ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন, তখন উনি এই কথাটা বলছেন। এমনও তো হতে পারে উনি এই বিতর্ক থেকে মানুষের দৃষ্টি সরাতে চেয়েছেন। মানুষ এই বিতর্ক চান না। আইনের শাসন যাতে প্রতিষ্ঠিত হয়, সেটা চাইছেন। প্রশাসনের ওপর মানুষের আস্থা নেই। আর সৌগতবাবু মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর কথা বলছেন, মহিলা মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু এরাজ্যের পুলিশমন্ত্রীও। সরাসরি যদি বিবৃতি দেন, আর একটু সহজ সরলভাবে যে কথাটা তাঁদের দলের মানুষও বুঝতে পারেন, যেটা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারবেন, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে মানুষ কৃতার্থ হবেন। দলে ভারসাম্য রক্ষার জন্য বলছেন না প্রচার মাধ্যমের অভিমুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে চাইছেন, সেটা নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ আছে।"


অন্যদিকে সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর প্রতিক্রিয়া, "সৌগতবাবু যা বলেছেন সেটা একটা সুস্থ সমাজের সভ্য নাগরিকের কথা। তাঁর উদ্বেগ যদি যথাযথ হয়, তবে ঠিকই। কিন্তু, এটা বলার পরেও তিনি মমতাকেই নেত্রী বলে মেনে নেবেন। সমস্যা সেখানেই।"