সুমন ঘড়াই, কলকাতা: নবান্নের (Nabanna) তেরো তলায় হনুমান (Hanuman)। একতলা দিয়ে ঢুকে সোজা উপরে উঠে যায় পবননন্দন। কাজের দিন হওয়ায় হনুমানকে ঘিরে জমে যায় ভিড়। অনেকে তুলতে থাকেন ছবি, কেউ খাওয়ান বিস্কুট।
বৃহস্পতিবার- কাজের দিন। অফিসে এসে গিয়েছেন অফিসার-কর্মীরা। নবান্নে ব্যস্ততাও তুঙ্গে। তারই মাঝে ছন্দপতন। ঘড়িতে তখন সকাল সাড়ে এগারোটা। নবান্নে হঠাৎই দেখা মিলল তাঁর। তাও একেবারে সাত তলায়। সেখানে তিনি কীভাবে এলেন তা বোঝা যায়নি। নবান্নের সাত তলায় সেই হনুমানকে দেখেই বাইরে বেরিয়ে আসে লোকজন। ভিড় দেখেই রেলিং বেয়ে ১৩ তলায় উঠে যায়। হন্তদন্ত হয়ে পড়েন নবান্নে উপস্থিত সকলেই। ডাক পড়ে নিরাপত্তারক্ষীদের,ডাকা হয় বনকর্মীদেরও। ততক্ষণে সেই হনুমানকে দেখে ভিড় জমে গিয়েছে। কেউ কেউ মোবাইল ক্যামেরা বের করে ছবি তুলছিলেন। কেউ আবার দিচ্ছিলেন বিস্কুট। তা দেখেও অবশ্য সেখানে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করেনি হনুমান। নেমে আসে ৪ তলায়, তারপর সেখান থেকে ৩ তলায়। গোটা সময়টা নবান্নের নিরাপত্তারক্ষীদের কার্যত নাস্তানাবুদ করে বেরিয়েছে ওই হনুমান। কখনও রেলিংয়ের উপর চড়ে বসেছে। কখনও এদিক-ওদিক লাফ দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় বকেয়া নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগে, এ দিনই রাজভবন অভিযানের কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল আর সেদিনই 'লঙ্কাকাণ্ড' রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ দফতর নবান্নে। ১৩ তলায় পৌঁছে গেল হনুমান। নবান্নের ১৪ তলাতেই মুখ্যমন্ত্রীর ঘর। তবে পায়ে চোটের চিকিৎসা চলার কারণে এই মুহূর্তে নবান্নে আসছেন না তিনি। তার ঠিক নীচেই পৌঁছে গিয়েছিল হনুমান। ফলে নিরাপত্তা বিঘ্ন হওয়ার মতো বিষয়টিও রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ নবান্নের ৭ তলায় হনুমানটিকে দেখতে পান কর্মীরা। এরপর, রেলিং বেয়ে ১৩ তলায় উঠে যায়। তাঁকে ক্যামেরাবন্দি করতে করিডরে ভিড় জমান সরকারি কর্মচারীরা। হনুমানের দাপটে কার্যত নাস্তানাবুদ হতে হয় রাজ্যের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ভবনের কর্মীদের। পরে অবশ্য রেলিং বেয়ে ৪ তলা হয়ে গ্রাউন্ড ফ্লোর দিয়ে বেরিয়ে যায় হনুমানটি।
আরও পড়ুন: সুতিতে শ্যুট আউটের ঘটনায় ধৃত নিহতের স্ত্রী, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই কি খুন?