উত্তর ২৪ পরগনা: এলাকা দখলের চেষ্টার অভিযোগ ঘিরে হাড়োয়ায় অশান্তি (Haroa)। আইএসএফের বিরুদ্ধে হাড়োয়ায় বোমাবাজি-গুলি চালানোর অভিযোগ। বোমাবাজি-গুলি চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার ৩।


প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ভাঙড়কাণ্ডে কম জল ঘোলা হয়নি। যার আঁচ পড়েছিল কলকাতাতেও। গ্রেফতার হয়েছিলেন খোদ নৌশাদ। তবে সেসময় নৌশাদের পাশে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশে থাকার বার্তা নিয়ে শুভেন্দু বলেছিলেন, 'ওর প্রতি আমাদের সহানুভূতি -সমর্থন আছে।' এবং সেবার ভাঙড়কাণ্ডে ,তৃণমূল সুপ্রিমোকেই দায়ী করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) ।  আর যার পাল্টা সৌজন্যও দেখেছিল বাংলা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ঠিক আগে রিষড়া ইস্যুকে সামনে রেখে একধাপ এগিয়ে নৌশাদ বলেছিলেন, 'এই জন্য দায়ী পুলিশ মন্ত্রী অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' 


কর্মী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নওশা সিদ্দিকি বলেছিলেন, 'হাওড়ার ঘটনার পর রিষড়া। বারবার মিছিল ঘিরে অশান্তি। এটা ভয় দেখানোর রাজনীতি অর্থাৎ বাইনারি পলিটিক্স করার চেষ্টা চলছে। হাওড়ার ঘটনার পরে পুলিশ প্রশাসন আইবি-র সজাগ থাকা দরকার ছিল। কিন্তু তারা মনে হয় সজাগ ছিল না, তাই একের পর এক ঘটনা ঘটছে।'  নৌশাদ এরপরেই বলেছিলেন,' এর দায় নিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। নবান্নের দোরগোড়ায় এই ধরনের ঘটনা ঘটে যায়, তাহলে প্রত্যন্ত গ্রামবাংলা এই ঘটনা ঘটলে রাজ্য প্রশাসন কীভাবে সামাল দেবে। তাই এই সমস্তের জন্যে দায়ী পুলিশ মন্ত্রী অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' যদিও ভাঙড়কাণ্ড, হাওড়া এবং রিষড়া অশান্তির ঘটনাও এখন অতীত, তবুও রাজনীতিবিদদের কথায় তা বারবার ফিরেফিরে আসছে। মূলত দোরগড়ায় পঞ্চায়েত ভোট। লোকসভার আগে এটাই সেমিফাইনাল বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।


আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ? 


 আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


সম্প্রতি আইএসএস বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিকে (Nawsad Siddique) প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন আরাবুল ইসলাম (Arabul Islam)।'উন্নয়ন দিয়ে ভাঙড়ে কাজ হবে না। নৌশাদদের পিঠের চামড়া তুলে নিতে হবে। পালিশ হবে আইএসএফ (ISF) কর্মীরা। নৌশাদ ভাঙড়ের মাটি গরম করার চেষ্টা করছো। তোমাকে  রাস্তায় ফেলে মারবে তৃণমূল কর্মীরা (TMC Worker)', প্রকাশ্যে হুমকি আরাবুল ইসলামের। আরাবুলের হুমকিতে চুপ নেই নৌশাদও। পাল্টা তিনিও বলেছেন,  'রাজনৈতিক শিরোনামে থাকতে, বড় পদ পেতে এসব বলা হচ্ছে। নেতারা গণতন্ত্রের কথা বলছেন, আর এঁরা গণতন্ত্রকে হত্যার কথা বলছেন। দল বা প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে, কিছু ঘটলে, তার দায়ভার বইতে হবে', আরাবুলের হুঁশিয়ারির পাল্টা নৌশাদ সিদ্দিকির।