পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: হরিদেবপুরে অটো ভর্তি অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার ৪। সূত্রের খবর, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করে পাকড়াও করা হয়েছে তাদের। ‘ঢাকা পোশাকে, হেলমেট পরে অটোয় বোমা-আগ্নেয়াস্ত্র বোঝাই ব্যাগ রাখা হয়। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে অটোয় বোমা-আগ্নেয়াস্ত্র রাখার ছবি।’ সূত্রের খবর, সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখে ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
দুষ্কৃতী তাণ্ডব, শ্যুটআউটের পর এবার খাস কলকাতায় উদ্ধার হল বোমা-অস্ত্র-কার্তুজ! হরিদেবপুরে একটি অটো থেকে সেগুলি উদ্ধার করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে সন্দেহভাজন দুই যুবকের ছবি! পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, চারদিন ধরে অটোতেই ছিল অস্ত্র ও বোমা! আতঙ্কে বাসিন্দারা।
সিন্ডিকেট দ্বন্দ্বে বেহালায় গুলি-প্রোমোটিং বিবাদে বাঁশদ্রোণীতে শ্যুটআউট। সম্প্রতি জোড়া শ্যুটআউটের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল বেহালা ও বাঁশদ্রোণীতে। তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠছিল, শহরের বুকে এত অস্ত্র আসছে কোথা থেকে?
সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার খাস কলকাতায় উদ্ধার হল অস্ত্র! একটি অটো থেকে ১৯টি তাজা বোমা! একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করল পুলিশ। ৪ দিন ধরে অটোতেই পড়েছিল এই বিপুল পরিমাণ বোমা! আগ্নেয়াস্ত্র।
ঘটনাস্থল হরিদেবপুরের পঞ্চানন তলা রোড। পুলিশ সূত্রে দাবি, ঘন জনবসতিপূর্ণ এই এলাকায়, ৪১ পল্লি ক্লাবের ঠিক উল্টোদিকে গ্যারাজের মধ্যে রাখা একটি অটো থেকেই এই বোমা-অস্ত্রগুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত দেড়টা নাগাদ ঘটনাস্থলে আসে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। আনা হয় বম্ব স্কোয়াডকেও। এরপর গ্যারাজে থাকা অটো থেকে একে একে বোমা-আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজগুলি উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, স্থানীয় মিলনী ক্লাবের পক্ষ থেকে গ্যারাজটি একটি ঋণ আদায়কারী সংস্থাকে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। সেই সংস্থার দাবি, কিস্তি শোধ করতে না পারায়, দিন ২০ আগে, অটোটিকে গ্যারাজে এনে রাখা হয়।
এর পরেই প্রশ্ন ওঠে অটোর মধ্যে বোমা-আগ্নেয়াস্ত্র-কার্তুজ, এসব রাখল কারা? সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে আসে একটি সিসিটিভি ফুটেজ। তাতে দেখা যাচ্ছে, ১৮ এপ্রিল ভোর তিনটে পঁয়ত্রিশে, বাইকে করে ঘটনাস্থলে আসে সন্দেহভাজন দুই যুবক। একটি ব্যাগ নিয়ে তাদের অটোর দিকে এগোতে দেখা গিয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সন্দেহভাজন ওই দুই যুবকই অটোর মধ্যে বোমা-অস্ত্রগুলি রাখে। পুলিশ সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুই সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এলাকার আরও কয়েকটি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ।