নয়াদিল্লি: উচ্চশিক্ষার জন্য পাকিস্তানে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে নির্দেশিকা জারি করল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC) এবং অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (AICTE)। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও ভারতীয় নাগরিক বা প্রবাসী ভারতীয় যদি পাকিস্তানের কোনও কলেজ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি লাভ করেন, তার ভিত্তিতে ভারতে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন না তাঁরা। আবার ওই ডিগ্রি দেখিয়ে ভারতে চাকরিও জোটানো যাবে না। অর্থাৎ শিক্ষা বা চাকরি, কোনও ক্ষেত্রেই পাকিস্তানের ডিগ্রি ভারতে গৃহীত হবে না।


পাকিস্তানে পড়তে যাওয়া নিয়ে যৌথ নির্দেশিকা UGC এবং AICTE-র


শুক্রবার UGC এবং AICTE, দুই সংগঠনের তরফে যৌথ নির্দেশিকা প্রকাশ করে শিক্ষার জন্য পাকিস্তানে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পড়াশোনা যে কোনও বিষয় নিয়েই হোক না কেন, পাকিস্তান থেকে পাওয়া ডিগ্রি কোনও ভাবেই গৃহীত হবে না বলে জানানো হয়েছে। তবে যে সমস্ত অভিবাসী এবং তাঁদের ছেলেমেয়েরা পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষা লাভ করেছেন এবং পরবর্তী কালে ভারতের নাগরিকত্ব পেয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ছাড়পত্র পেলে তাঁদের ভারতে চাকরি পেতে সমস্যা হবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।


আরও পড়ুন: Post office savings account: পোস্ট অফিসের সেভিংস অ্যাকাউন্টে ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং খুলতে চান, জেনে নিন পদ্ধতি


এর আগে, ২০১৯ সালে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছিল UGC। তবে ভারত থেকে পাকিস্তানে পড়তে যাওয়া পড়ুয়ার সংখ্যা একেবারেই নগণ্য। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালে সবমিলিয়ে ২০০-র মতো পড়ুয়া, যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা, পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়ে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। এই মুহূর্তে কত জন পড়ুয়া সেখানে পাঠরত, তা যদিও জানা যায়নি। কিন্তু এই নির্দেশিকার পর আগামী দিনে কেউ পাকিস্তানে পড়াশোনা করতে যাওয়ার কথা কল্পনাও করবেন না বলে মনে করা হচ্ছে।


দুই দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা


পড়শি দেশে শিক্ষালাভ নিয়ে পর পর এই নিয়ে দ্বিতীয় বার এমন নির্দেশিকা প্রকাশ করা হল। ভারতীয় পড়ুয়াদের ভিসা মঞ্জুর করা নিয়ে যখন ঝামেলা চলছে, সেই সময় গতমাসে চিনে পড়তে যাওয়া নিয়ে এমন নির্দেশিকা জারি করে UGC এবং AICTE। এ বার পাকিস্তানকে নিয়েও এমন নির্দেশিকায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে কূটনৈতিক স্তরে। কারণ এতে পড়শি দেশগুলির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও অবনতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন কূটনীতিকরা। বিশেষ করে ইমরান খান সরকারের পতনের পর পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির চিঠি আদানপ্রদানে, আশার আলো দেখেছিলেন অনেকেই। কিন্তু আপাতত তিক্ততার অবসানের কোনও সম্ভাবনাই যে নেই, এই নির্দেশিকাই তা প্রমাণ করে দিল বলে মনে করা হচ্ছে।