কলকাতা: কামদুনি গণধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ডের ১০ বছর পার। ২০১৩ সালের এই নৃশংস ঘটনাকে কেন্দ্র করেই, শিরোনামে উঠে এসেছিল উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনি। এবার কামদুনিকাণ্ডের রায় ঘোষণা হাইকোর্টের (HC on Kamduni Case)। তবে রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন কামদুনির দুই প্রতিবাদী মুখ টুম্পা কয়াল এবং মৌসুমি কয়াল। এবং রায়ের পর আদালত চত্বরেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন মৃতার ভাই।


 ফাঁসির পরিবর্তে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ, বেকসুর ছাড়া পেলেন কারা ?


২০১৩ সালের ৭ জুন এক নৃশংস ঘটনাকে কেন্দ্র করে, শিরোনামে উঠে এসেছিল উত্তর ২৪ পরগনার অখ্য়াত জনপদ কামদুনি। এক কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে এসেছিল সেখানে। তবে এদিন হাইকোর্টের তরফে নির্দেশে জানানো হয়েছে যে, দোষী সাব্যস্ত আনসার আলি মোল্লার  ফাঁসির পরিবর্তে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত সইফুল আলি মোল্লারও ফাঁসির পরিবর্তে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফাঁসির সাজা হয়েছিল আমিন আলীরও, তবে আজ হাইকোর্টের নির্দেশের পর বেকসুর ছাড়া পেয়েছে সেও। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পরিবর্তে ছাড়া পেয়েছে ইমানুল হক, ভোলানাথ নস্কর এবং আমিনুর ইসলাম।


হাইকোর্টের রায়ে সন্তুষ্ট নয় মৃতের পরিবার, সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার বার্তা


নির্যাতিতা পরিবারের তরফে বলা হয়েছে,' আমরা চেয়েছিলাম দোষীদের যেনও দৃষ্টান্তমূলক শান্তি হোক। বারংবার মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) কাছে চিঠি দেওয়া, মেল করা সত্ত্বেও কোনও সদুত্তর আসেনি বলেই অভিযোগ তাঁদের। সরকারের কোনও সদিচ্ছা নেই, এটা তাঁরা মোটেই ভাল চোখে দেখছেন বলেই দাবি করেছেন। নিম্ন আদালতের রায়ই তাঁরা চেয়েছিলেন। তাঁদের কথায়,' ৬ জন দোষী, ৬ জনেরই ফাঁসি চেয়েছিলাম। ১০ বছর আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছি।' কিন্তু এই রায়ে সন্তুষ্ট নন বলেই জানিয়েছেন মৃতার পরিবারের সদস্যরা। এদিন তাঁরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, হাইকোর্টের এই রায় তাঁরা মেনে নিতে নারাজ। তাই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার বার্তা দিলেন এদিন টুম্পা কয়াল।


আরও পড়ুন, শিলাবতীর জল বেড়ে ঘাটালের একাধিক এলাকা প্লাবিত, ভোগান্তির মুখে আরও কারা ?


(খবরটি সম্প্রতি ব্রেক করা হয়েছে। বিস্তারিত কিছুক্ষণ পরই দেওয়া হচ্ছে। একটু পরে রিফ্রেশ করুন। জেলা থেকে শহর, দেশ, বিদেশ, বিনোদন থেকে খেলা, বিজ্ঞান থেকে প্রযুক্তি সহ অন্যান্য সমস্ত খবরের আপডেটের জন্য দেখতে থাকুন এবিপি আনন্দ ও এবিপি লাইভ)